আর নতুন করে যুক্ত হয়েছে জাপানি মুদ্রা ইয়েন। ফলে আকুর দেনা পরিশোধে ইউএস ডলার, ইউরো এবং জাপানি ইয়েনে ছাড় করতে পারবে এডি ব্যাংকগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে পাঠানো হয়।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতিমালা ২০০৯ এর ৩ অধ্যায়ের ২ অনুচ্ছেদ অনুসারে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই এডি ব্যাংকগুলোকে আকুর দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে ইউরোর ব্যবহার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে কেবল ইউএস ডলারে আকুর দেনা পরিশোধ করে আসছে এডি ব্যাংকগুলো।
বৃহস্পতিবারের প্রজ্ঞাপনে দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে ইউরোর ব্যবহার পুনরায় প্রবর্তনের পাশাপাশি জাপানি ইয়েনের ব্যবহার চালু হওয়ায় আকুর দেনা পরিশোধে তিনটি মুদ্রা চালু থাকলো।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে ব্রেক্সিটের প্রভাবে ইউরোর দরপতনের পর জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডয়েসে বুন্দেস ব্যাংকের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ আকুর দেনা পরিশোধের জন্য ইউরোর লেনদেন বন্ধ করে দেয়।
এশীয় অঞ্চলের ৯টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বৈদেশিক লেনদেন নিষ্পন্ন জোট আকু। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহজে লেনদেন নিষ্পত্তি করার তাগিদ থেকে ১৯৭৪ সালে এ সংস্থা গড়ে তোলা হয়।
প্রতিষ্ঠাকালে এর সদস্য সংখ্যা ছিল ছয়টি দেশ। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হচ্ছে-বাংলাদেশ ব্যাংক, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (ভারত), সেন্ট্রাল ব্যাংক অব দ্য ইসলামিক ব্যাংক অব ইরান, নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান, সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলঙ্কা।
১৯৭৭ সালে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব মিয়ানমার, ১৯৯৯ সালে রয়্যাল মনিটারি অথরিটি অব ভুটান এবং ২০০৯ সালে মালদ্বীপ রয়েল মনিটারি অথরিটি আকুতে যোগ দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এসই/এমএ