দর্শনার্থীদের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণে যেন উৎসবের আমেজ বইছে। আর এই সুযোগে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে মেলার স্টল, প্যাভিলিয়নগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ছাড় আর অফার দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, ছাড় আর অফারের মিছিলে সামিল হয়ে ১০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় দিচ্ছেন গার্মেন্টস পণ্যের বিক্রেতারা। এতে দর্শনার্থী বাড়লেও বিক্রি বাড়ছে না এসব স্টলে।
মেলার অন্যান্য পণ্যের স্টল আর প্যাভিলিয়নে বিক্রি ভালো হওয়ায় বিক্রেতারা যেমন আশায় বুক বেঁধেছেন, ঠিক তেমনি গার্মেন্টস পণ্যের দোকান মালিকরা হতাশা প্রকাশ করলেন।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, ইলেকট্রনিকস, ক্রোকারিজ আর খাবারের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা যেমন বেশি বিক্রিও তেমন আশানুরূপ। অপর দিকে ব্লেজার, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্যের দোকানে ১০-৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কোনো কোনো ব্লোজারের দোকানে ‘আখেরি অফার নামে’ ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এতে দর্শনার্থী বাড়লেও ক্রেতা পাচ্ছেন না এসব দোকান মালিকরা। এবছর বেচা-বিক্রির যে অবস্থা তাতে বড় ধরনের ব্যবসায়ীক ক্ষতিতে পড়তে হবে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মেলার ৬১ নম্বর স্টল ‘মেনস আর্ট’র প্রোপ্রাইটর বাদল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গত তিন বছর ধরে মেলায় স্টল নিচ্ছি। এতো খারাপ অবস্থা এর আগে কোনো বছর দেখিনি। যে পণ্য আমাদের শো-রুমে মানুষ ১৫শ’ টাকা দাম বলে এখানে ৭শ’ টাকায়ও সেই পণ্য নিচ্ছে না। আমাদের শো-রুমে এরচেয়েও ব্যবসা অনেক ভালো হয়।
বাদল বলেন, এবছর আমরা সরকারিভাবে স্টল পাইনি, পরে স্টল নিয়েছি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
এদিকে মেলায় লাভের আশায় প্রথমবার স্টল দিয়েছেন পলওয়েল মার্কেটের ব্যবসায়ী আহম্মেদ বাবু। মেলার ৬৮ নম্বর ‘নেক্সট স্টেপ’ স্টলটি তাদের। সেখানে বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট, টি-শার্ট, প্যান্ট, বিদেশি জুতা, ব্যাগ বিক্রি করা হচ্ছে। পণ্যের ধরনের উপর দেওয়া হয়েছে ১০-৪০ শতাংশ ছাড়। তবুও বিক্রির যা অবস্থা তাতে লস হবে বলে জানান তিনি।
আহম্মেদ বাবু বলেন, মেলায় আমরা লাভের আশায় প্রথমবার দোকান নিলাম, আর প্রথমবারেই লস। স্টল নিয়েছি ৩ লাখ ২০ হাজার টাকায়। প্রতিদিন স্টাফদের খাওয়া, বেতন সব মিলিয়ে প্রচুর খরচ। কিন্তু বিক্রি নেই। ক্রেতারা শুধু ছাড় চায়, ছাড় দিতে দিতে আমাদের চালানইতো শেষ হওয়ার পথে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
এসআইজে/জেডএস