শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ইমেইলের মাধ্যমে ঋণের খসড়া প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) নিশ্চিত করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। ইআরডির অতিরিক্ত সচিব বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
ঢাকাসহ দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপনে স্বপ্নের পদ্মাসেতু গড়তে কাজ করছে সরকার। এই সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমে রেলওয়ে যোগাযোগও চালু করতে কাজ করছে সরকার। সেজন্য ২০১৬ সালের ৩ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ অনুমোদন দেওয়া হয়।
৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের আওতায় রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত নতুন ব্রডগেজ রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে, যার দৈর্ঘ্য হবে ১৬৯ কিলোমিটার। লুপ সাইডিং (লাইন বদলের জন্য) এবং ডাবল লাইনসহ মোট ট্র্যাক হবে ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার।
সরকারি অর্থ বা জিওবির টাকা ১০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি ধরা হলেও প্রকল্পে চীনের ঋণ সহায়তা থেকে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৪ হাজার ৭৪৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। কিন্তু প্রায় দুই বছর ধরে ঋণের ব্যাপারে কোনো সাড়া দিচ্ছিলো না চীন কর্তৃপক্ষ। জিওবির অর্থে কাজ এগোচ্ছিল ধীর গতিতে। অবশেষে এই ঋণ প্রস্তাব চীন সাড়া দেওয়ায় খুশি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (এশিয়া) জাহিদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, চীনের কাছ থেকে ঋণ পেতে আর কোনো সমস্যা নেই। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত এক্সিম ব্যাংককে আমরা যে খসড়া প্রস্তাব দিয়ে ছিলাম, শুক্রবার ইমেইলের মাধ্যমে তারা সেই প্রস্তাবে অনুমোদনের কথা জানিয়েছে। এখন পদ্মাসেতুতে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপিত হতে আর কোনো বাধা নেই।
শিগগির ঋণ সংক্রান্ত চুক্তি হবে বলে আশা করছেন ইআরডির শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ নিয়ে এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে। হবে দু’পক্ষর মধ্যে সমঝোতা সংলাপও। এর পরই চূড়ান্ত ঋণচুক্তি সম্পন্ন হবে।
ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে চীন। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হবে। কাজও এগিয়ে যাবে দ্রুত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এমআইএস/এইচএ/