শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এসময় পরিষদের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীনতা পরিষদ-বিজিএমইএ’র যাত্রা শুরু হয়। যাত্রা শুরুর পর তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একটি প্যানেলও ঘোষণা করেছে।
এদিকে বিজিএমইএ’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ কমিটির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে করা আবেদন আইনসম্মত হয়নি। যে প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে তা অবৈধ। এ ধরনের আবেদন করতে হলে জরুরি সাধারণ সভা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু বর্তমান কমিটি কোনো প্রক্রিয়া না মেনেই আবেদন করেছে।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান দেশের রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাত বর্তমানে নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ না বাড়িয়ে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের প্রয়োজন ছিল।
বর্তমান কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি অবৈধ হলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। বিরোধ বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তাই এখনই মামলা নয়, সাধারণ সদস্যদের সঙ্গে আলোচানার পর প্রয়োজন হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুসারে কমিটি চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। এর আগেও বর্তমান কমিটির মেয়াদ সরকার ৬ মাসের জন্য বাড়িয়েছিল।
নির্বাচনী তফসিলঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ মার্চ বিজিএমইএ’র ৩৫ পরিচালক পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে বিজিএমইএ ভবন, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সর হস্তান্তর প্রক্রিয়া এবং জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার আরো এক বছরের জন্য এ কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এসই/এএ