ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হস্তশিল্প রফতানিতে নগদ সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৮
হস্তশিল্প রফতানিতে নগদ সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাব

ঢাকা: হস্তশিল্প রফতানির বিপরীতে বর্তমানে নগদ সহায়তা দেওয়া হয় ২০ শতাংশ। তা বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। 

রোববার (০৬ মে) রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এ প্রস্তাব করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ মেরিন ফিরাশিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লুব ব্লেন্ডার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।

এসময় আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, পাটজাত পণ্য রফতানিতে উৎসে কর কমানো, পোশাক খাতের মতো চামড়া খাতেও সহযোগিতা দেওয়াসহ বন্ডের পরিধি বাড়ানো, শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানোসহ বেশকিছু প্রস্তাব করা হয়।

লিখিত প্রস্তাবে এসএমই ফাউন্ডেশন বলছে, হস্তশিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবাই নিজেদের পুঁজি, মেধা ও শতভাগ দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে উৎপাদিত পণ্য দেশে এবং বিদেশে বাজারজাত করছে। এতে মুনাফার পরিমাণ খুব সামান্য। এসব হস্তশিল্প পণ্য রফতানির জন্য নগদ সহায়তার পরিমাণ ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করলে তাদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হবে।

প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে প্রায় সব আমদানির উপর ৫ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর প্রযোজ্য আছে। এক্ষেত্রে নিবন্ধিত শিল্পের, বিশেষ করে এসএমই শিল্পের কাঁচামাল আমদানির উপর থেকে অগ্রিম মূসকের ন্যায় অগ্রিম আয়করও প্রত্যাহার করা হোক। পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এছাড়া মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্পের রফতানিকারক ও উৎপাদকদেরকে অগ্রিম আয়কর থেকে সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া বার্ষিক নিট রফতানির সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ গ্রস আয় ধরে আয়কর নিষ্পন্ন করার প্রস্তাব করা হয়।

মূসকের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন নিরুপণ ও রেয়াত সুবিধা গ্রহণ করতে অক্ষম ক্ষুদ্র মাঝারি সব শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত মূল্যভিত্তিতে মূসক আরোপের বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে মূসকের হার ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে ফাউন্ডেশন। এদিকে কৃষিভিত্তিক প্রক্রিয়াজাত শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শূন্য শুল্ক আরোপ এবং চামড়জাত পণ্যের শিল্পের জন্য পোশাক শিল্পের সমপর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিৎ করার প্রস্তাব দিয়েছে ফাউন্ডেশনটি।  

প্রস্তাবনায়, পলি কার্বোনেট, প্লাস্টিক শিল্পের কাঁচামাল, তরল আকারের ফ্লেক্সো-গ্রেভার ছাপার কালি, আনপ্রিন্টেড পিভিসি, পলিয়েস্টার ও পলি-এমাইড, ইথাইল অ্যাসিটেট, টলুইন, ইউরিয়া মেল্ডিং কম্পাউন্ড, ইউরিয়া রেজিনস, থায়ো-ইউরিয়া রেজিনস, বেজ মেটালের আওতাভুক্ত মৌলিক কাঁচামাল, লিফ স্প্রিংয়ের মৌলিক কাঁচামাল এবং ইঞ্জিন ফিল্টারের মৌলিক কাঁচামাল ফিল্টার পেপার ও পেপার বোর্ড আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেরিন ফিরাশিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে সামসুদ্দিন খান গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জালসহ অন্যান্য উপকরণ আমাদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধার প্রস্তাব করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।