ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ধনিয়া পাতার দাম কত?

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
ধনিয়া পাতার দাম কত? রমজান উপলক্ষে বেড়ে গেছে পুদিনা ও ধনিয়া পাতার দাম। ছবি: বাংলানিউজ

বাঙালির পাতে রসনা বিলাসে বছরের পুরোটা সময়েই থাকে ধনিয়া আর পুদিনা পাতার নানা পদ। তবে রমজান মাসজুড়ে যেন এর কদর আরও বেড়ে যায়। ইফতারের নানা পদে ধনিয়া-পুদিনা পাতার ব্যবহার নিয়ে তৈরি নতুন নতুন নানা পদও।  

জুস তৈরি, মুড়ি ভর্তা, ছোলা বা পিঁয়াজুর সঙ্গে মিলিয়ে ইফতারে পরিবেশন করেন অনেকে। আর এ সুযোগে রমজানে রসনার অন্যতম এই অনুষঙ্গের দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাইকারি দামে ধনিয়া পাতা যে দামে বিক্রি হয় খুচরা বাজারে তা ৮ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর পুদিনা পাতায় বিক্রির এ পার্থক্য প্রায় ৪ গুণের বেশি। অথচ দেখার যেনো কেউ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।  

শুক্রবার (১৮ মে) রাজধানীর বৃহত্তম পাইকার বাজারখ্যাত কারওয়ান বাজার ও রাজধানীর অন্যান্য খুচরা বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই দেখা গেছে।  

কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, ধনিয়া পাতা প্রতিকেজি পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। আর পুদিনা পাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি।

অথচ এ বাজার থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরেই হাতিরপুল কাঁচা বাজার। সেখানে ধনিয়া পাতা ২৫০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। অর্থাৎ এর কেজি প্রতি দাম পড়ছে ১৬০ টাকা।  

আর ২৫০ গ্রাম পুদিনা পাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এই হিসেবে প্রতিকেজির দাম পড়ছে ১২০ টাকা। একই দাম দেখা গেছে সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারেও।

আরও পড়ুন>>
** 
বেঁধে দেওয়া দাম মানছেন না মাংস ব্যবসায়ীরা

এ দামের পার্থকের বিষয়ে বিক্রেতারা নানা যুক্তি তুলে ধরছেন। তারা বলছেন, আগে কেনা ছিল তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেকে আবার বলছেন, রাতে কিনেছি তখন পাইকারি দাম বেশি ছিল।

হাতিরপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কোনো সবজির দামই বেশি রাখি না। কেজিতে হয়তো দুই-তিন টাকা থাকলেই ছেড়ে দিই।  

ধনিয়া পাতার কারওয়ান বাজারের সঙ্গে এ বাজারের দামের ব্যবধান ৮ গুণ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাল কেনা রাত দুইটার দিকে। তখন দাম বেশি ছিল। সকালে কারওয়ান বাজারে হয়তো দাম কমেছে, সেজন্য কম।  

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ধনিয়া ও পুদিনা পাতার সঙ্গে অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বেড়েছে মুরগির মাংস ও মাছের দামও।

হাতিরপুল বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শসা, টমেটো, গাজর, চিচিঙ্গাসহ অন্যান্য সবজিও। প্রতিকেজি শসার দাম ৬০ টাকা আর টমেটো ৭০ টাকা। এ বাজারে করলা, কচুর লতা, গাজর, ঝিঙার দামও বাড়তির দিকে।  

কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, প্রতিটি সবজিতেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। এখন খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম নেওয়া হচ্ছে ৪৫ টাকা। তবে বিভিন্ন মসলা জাতীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।

বিভিন্ন সবজির দাম বাড়লেও দাম কমেছে কাঁচা মরিচের। দুইদিন আগে কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অপরিবর্তিত দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল ও ডিম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
ইএআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।