শুক্রবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে দেখা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি মাছ ৩০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারে প্রতি কেজি চিংড়ি হরিণা ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা, গলদা চিংড়ি এক হাজার ১০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা, ইলিশ এক কেজি ওজনের প্রতি পিস ২৫০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি এক জোড়া ইলিশ ২৬০০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ওজনের এক জোড়া ইলিশ ১৬০০ টাকা, রুই বিভিন্ন (ছোট-বড়) সাইজের প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা, দেশি মাগুর প্রতি কেজি এক হাজার টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, পাবদা ৭০০ টাকা, কৈ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি কৈ প্রতি কেজি এক হাজার টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারের ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সব ধরনের মাছ আছে, এখানে কোনো মাছের ঘাটতি নেই। এরপরও বিক্রেতারা নানা অযুহাতে প্রতি কেজি মাছের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। দুই দিন আগে যে চিংড়ি কিনেছি ৮০০ টাকা তা আজ ১১০০ টাকা হয়ে গেলো। কী এমন হলো যে প্রতি কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়ে গেলো।
এ বাজারের মাছ বিক্রেতারা ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন, এখন অনেক জেলায় বন্যার কারণে পাইকারি বাজারে মাছ সংকট। বাজারে অল্প পরিমাণ মাছ আসায় দাম বেশি। পাইকারি বাজারে দাম বেশি তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মতিঝিল টিএনটি বাজারে প্রতিটি সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এখানে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা। 
এ বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে সবজির মৌসুম না হওয়ায় আমদানি কম। এতে প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। আমাদের বাড়তি দামে সবজি কিনে তা বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামেই।
এদিকে, রাজধানীর সেগুন বাগিচা বাজারে প্রতি ডজন ডিম (বয়লার) বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম ডজন ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগি (বয়লার) প্রতি কেজি ১৭০ টাকা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ৫২০ টাকায়। অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, পিয়াজ, রসুন, আদা ও তেলের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ জুন ২৯, ২০১৮
ইএআর/আরআইএস/
.jpg)
