ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০১৯ সাল থেকেই পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
২০১৯ সাল থেকেই পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলা একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: আর রাজধানীর শেরে বাংলানগরে নয়, ২০১৯ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে পূর্বাচলে। ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

বৈঠক শেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, যদিও প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে এর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের মধ্যেই এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ করে দিতে সম্মতি দিয়েছে চীন।  

‘সব অবকাঠামো চীনে নির্মিত হবে, পূর্বাচলে শুধু এগুলো বসানো হবে। ফলে দ্রুত সময়েই এটা নির্মিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। ’ 

এমএ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী দ্রুত সময়ে এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। চীন সরকারও আমাদের আশ্বাস দিয়েছে ২০১৯ সালের মধ্যেই এটি নির্মিত হবে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে পূর্বাচল নিউ টাউনে বাণিজ্যমেলার জন্য এক্সিবিউশন সেন্টারটি নির্মিত হবে। এটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা করা হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকার ৬২৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে। মোট ২০ একর জমিতে নির্মিত হবে এটি।  

‘নতুন নতুন স্থাপনা নির্মাণ, সেন্টারের পরিসর বৃদ্ধি, সেন্টারটি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে একনেক সভায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে,’ বলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।  

এদিকে একনেক সভায় এক্সিবিউশন সেন্টার নির্মাণসহ মোট ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৯২০ কোটি টাকা।

অনুমোদন পাওয়া অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছয়ানী-বসুরহাট-চন্দ্রগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য লিংক প্রকল্প, বাংলাদেশের ৩৭টি জেলার সার্কিট হাউজের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্প, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প, সারাদেশের পুরাতন খাদ্য গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।