এদিকে এ বছর ঈদুল আজহায় বগুড়ায় ৩ লাখ ৪ হাজার ৪৭০টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতর। সেই হিসেবে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি ৮২ হাজার ৪২৯টি কোরবানি যোগ্য গবাদি পশু বেশি রয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, বগুড়ায় কোরবানি যোগ্য মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৯টি। এর মধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১০৮টি গরু-মহিষ এবং ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৯১টি ছাগল-ভেড়া রয়েছে।
জেলা অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রাকৃতিকভাবে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের জন্য বগুড়ায় গরু-মহিষ মোটাতাজাকরণে মোট ১ হাজার ৫৬০ জন ও ১ হাজার ৩৯০জনকে ছাগল মোটাতাজাকরণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় মোট খামারি ২১ হাজার ১৯৪ জন।
এছাড়া কোরবানির পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ৯০জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য খামারিদের সচেতন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এদিকে অন্য বছরের ন্যায় হাটগুলোতে একাধিক ভেটেরিনারি দল কাজ করবে বলে জানান মাসুদুর।
বগুড়ার বুলু মিয়া, বেল্লাল হোসেন, আমজাদ আলীসহ একাধিক খামারি বাংলানিউজকে জানান, আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশু পালনকারী বড়-ছোট সব খামারি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রত্যেক খামারি তাদের প্রিয় পশুটি সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে শেষ বেলায় পশুর পরিচর্যায় বস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
এমবিএইচ/আরআইএস/