ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রতিদিন ৫০ টন কাগজ উৎপাদন করছে ইকু পেপার মিল 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
প্রতিদিন ৫০ টন কাগজ উৎপাদন করছে ইকু পেপার মিল  মিলটিতে পেপার তৈরি হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: পুরনো ও ফেলে দেওয়া কাগজ দিয়ে উন্নতমানের নিউজপ্রিন্ট ও সাদা কাগজ তৈরি করছে ইকু পেপার মিল। প্রতিদিন এই মিলে উৎপাদন হচ্ছে ৫০ টনের বেশি কাগজ। 

এতে লোকজনের কর্মসংস্থানও হয়েছে। যা উত্তরের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

আগামী দিনে অফসেট কাগজ, টিস্যু পেপার তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মিলটি।

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে শ্বাসকান্দর এলাকায় ইকু পেপার মিলটি গড়ে উঠেছে। প্রায় তিন একর জমির ওপর গড়ে ওঠা মিলটি গত বছর থেকে উৎপাদন শুরু করেছে। প্রথমে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৮৭ কোটি টাকা। পরবর্তীতে অবকাঠামোসহ বিভিন্ন কারণে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের পর উৎপাদন শুরু হয়।

পেপার তৈরির জন্য রাখা  ‍পুরোনো কাগজ।  ছবি: বাংলানিউজকাগজ উৎপাদনের কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে এবং কিছু বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। মিলের একদল নারী শ্রমিক সেগুলো বাছাইয়ের পর কাগজের মণ্ড তৈরি করে উপকরণ মেশানোর পর তৈরি হচ্ছে নিউজপ্রিন্ট ও সাদা কাগজ। এসব কাগজ বর্তমানে উত্তরের বাজার দখল করে নিয়েছে। দাম কম হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।  

সৈয়দপুর শহরে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা পেপার মিলটিতে কর্মকর্তাসহ প্রায় ২০০ শ্রমিক কাজ করছেন।  

এরই মধ্যে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা মিলটি পরিদর্শন করেন। এসময় ইউএনও কাগজ তৈরির কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মিলটি কিছুটা হলেও উত্তরের কাগজের চাহিদা মেটাতে পারবে। তৈরি করে রাখা পেপার।  ছবি: বাংলানিউজ

ইকু পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুল আলম।  
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের অর্থায়নে পেপার মিলটি চালু করা হয়েছে। খুব শিগগিরি মিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। কাগজ উৎপাদনে বিদ্যুতের প্রয়োজন। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে মিলটি চালু করতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে। বিদ্যুৎ ট্রিপের কারণে মিলের যন্ত্রাংশ পুড়ে যাওয়া এবং নষ্ট হওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটে। এ কারণে তিনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।