ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ই-পেমেন্টের তুলনায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উন্নতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
ই-পেমেন্টের তুলনায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উন্নতি

ঢাকা: দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে পরিশোধ পদ্ধতির যথেষ্ট উন্নয়ন হলেও ই-পেমেন্ট সিস্টেমের তুলনায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উন্নতি হয়েছে অনেক বেশি।
 

মোবাইল ব্যাংকিং এবং ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট ব্যবহারকারীদের সংখ্যার পার্থক্যে বোঝা যায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের আরও ইলেকট্রনিক পেমেন্ট পদ্ধতি উদ্ভাবনের সুযোগ রয়েছে।
 
সোমবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ও দ্য ডেইলি স্টার আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্যে পেমেন্ট ইকোসিস্টেম নির্মাণ- প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা একথা বলেন।


 
শুধু ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ ব্যবহার বাধ্যতামূলক না করে বরং দেশীয় পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) এবং এটিএম ট্রানসেকশন ব্যবহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে পছন্দ করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনা হয়।
 
ই-পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের জিএম লীলা রশীদ বলেন, ইন্টারনেট ব্যাংকিংই হবে ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ। তবে বেশিরভাগ ব্যাংক এ খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না করায় কাঙ্খিত অগ্রগতি হচ্ছে না। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক পরিশোধ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট, অটোমেটেড চেক ক্লিয়ারিং হাউজ, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক ও ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যাংকগুলো বিনা খরচে লেনদেন করার সুযোগ পাচ্ছে।
 
তিনি বলেন, আবার অনেকে জানলেও সব ব্যাংকের মধ্যে আন্তঃসংযোগ না থাকায় ব্যবহারে আগ্রহী হন না। দেশে বিদ্যমান সব ই-পেমেন্ট পদ্ধতির আন্তঃসংযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।
 
এসময় তিনি জানান, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশকে (এনপিএসবি) নিজের অধীনে রাখতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাত যথাযথভাবে এনপিএসবি পরিচালনা করার সক্ষমতা অর্জন করলে এটা অবশ্যই বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
 
তিনি বলেন,  দেশে বর্তমানে মোট ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অথচ কার্ড রয়েছে মাত্র এক কোটি ৩৫ লাখের মতো। এর মধ্যে এক কোটি ২৪ লাখের মতো রয়েছে ডেবিট কার্ড। প্রিপেইড কার্ড রয়েছে এক লাখ ৬০ হাজারের কম। আর ক্রেডিট কার্ড রয়েছে ১০ লাখেরও কম। ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের (টিআইএন) বাধ্যবাধকতার কারণে ক্রেডিট কার্ড এতো কম।
 
তিনি জানান, পুরোপুরিভাবে এখন ৩০টি ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা রয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃসংযোগের আওতায় এসেছে ১৩টি ব্যাংক। ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের আওতায় বর্তমানে ৫১টি ব্যাংক আন্তঃব্যাংক এটিএম এবং ৫০টি ব্যাংক পিওএস সেবা দিচ্ছে।
 
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন বলেন, দেশে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের বড় চ্যালেঞ্জ হলো এখানে ১৮-১৯টি প্রতিষ্ঠান থাকলেও সক্রিয় প্রতিষ্ঠান মাত্র দু’টি।
 
সঞ্চালক পিআই স্ট্রাটেজির ম্যানেজিং পার্টনার পিয়াল ইসলাম বলেন, দেশে অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও পেমেন্ট সিস্টেমের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এখানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আরও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
 
প্যানেল আলোচনায় বিশেষজ্ঞ, নীতি নির্ধারক, ব্যাংক খাতের কর্তা ব্যক্তিরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পেমেন্ট পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।  ওয়াশিংটন ডিসি’র এফটিআই কনসালটিংয়ের পাবলিক পলিসি উপদেষ্টা টম ক্রফোর্ড গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এসই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।