ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টেকনাফ করিডোর দিয়ে পশু আমদানিতে রাজস্ব ৫৩ লাখ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
টেকনাফ করিডোর দিয়ে পশু আমদানিতে রাজস্ব ৫৩ লাখ টেকনাফ করিডোর দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে গবাদি পশু

কক্সবাজার: বৈরী আবহাওয়ার প্রতীকূলতাকে ছাপিয়ে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে চলতি আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ করিডোর দিয়ে ১০ হাজার ৬০৩টি পশু বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রোববার (১৯ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত এ পরিসংখ্যান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

এর মধ্যে শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে ৯ হাজার ৮৪৫টি গরু এবং ৭৫৮টি মহিষ আমদানি করেছেন গরু ব্যবসায়ীরা। এর মাধ্যমে এখাতে এখন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৩ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকা।

টেকনাফ পশু আমদানিকারক সূত্র মতে, প্রতিবছরের মতো এবারের কোরবানি উপলক্ষে মিয়ানমার থেকে ৫০ হাজার গরু ও মহিষ আমদানির টার্গেট নেওয়া হয়। সেই লক্ষ্যে মিয়ানমারের গরু ব্যবসায়ীদের অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়া আর দেশের বাজারে গরুর দাম কমে যাওয়ায় আগস্টের শুরুতে পশু আমদানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন আমদানিকারকরা। কিন্তু সব প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে আগস্টে রেকর্ড পরিমাণ পশু আমদানি করা হয়েছে।  

পশু আমদানিকারক সমিতির সভাপতি ও টেকনাফ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুল্লাহ মনির বলেন বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় গত কয়েক দিন মিয়ানমার থেকে পশুবোঝাই কোনো ট্রলার করিডোরে আসতে পারেনি। তবে এখন বৈরী হাওয়া কেটে যাওয়ায় মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি আবারো শুরু হয়েছে। আশা করছি, আবহাওয়া পরিস্থিতি গত দু’দিনের মতো স্বাভাবিক থাকলে কোরবানির আগ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে রেকর্ড পরিমাণ গবাদি পশু আমদানি করা সম্ভব হবে। এতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন পশুর হাটে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো জানান, মিয়ানমার থেকে করিডোরে পশু আমদানি এবং ক্রয়-বিক্রয়ে তারা সর্বস্তরের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং কোথাও কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না।

টেকনাফ শুল্ক স্টেশন সূত্র মতে, মিয়ানমার থেকে চোরাপথে গবাদি পশু আনা রোধে ২০০৩ সালের ২৫ মে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট বিজিবির চৌকি সংলগ্ন এলাকায় এ করিডোর চালু করা হয়। আমদানিকৃত গবাদি পশু প্রথমে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে টেকনাফ সদরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকে রাজস্ব জমা এবং স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের অনুমতি নিয়েই পশুগুলো করডোর থেকে ছাড় পাওয়া যায়।

সূত্রটি আরো জানায়, চলতি মাসে মিয়ানমার থেকে ১০ হাজার ৬০৩টি পশু আমদানি করা হয়েছে। এখান থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে  ৫৩ লাখ ১ হাজার ৫০০ টাকা। যা গত জুলাই মাসের রাজস্ব আয়ের চেয়ে ২২ রাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা বেশি।  

টেকনাফ শুল্ক স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পশু আমদানিকারকদের কাছ থেকে ৫৩ লাখ টাকার কিছু বেশি রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।  
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
টিটি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।