এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাংক শাখা খোলা অথবা বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তিতে দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোকে যোগাযোগ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, দেশ দু’টি থেকে রেমিটেন্স আনতে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি দেশি ব্যাংক আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
যোগাযোগ করা হলে ইসলামী ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা ইয়াহিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জাপান থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য দেশটির কয়েকটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে রেমিটেন্স বাড়ানোর কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ দেশে আমাদের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন করে আরেকটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মতো এই দু’টি দেশেও বাংলাদেশি কর্মজীবীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাই বৈধপথে প্রবাসী আয় দেশে আনার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাপান থেকে রেমিটেন্স বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। সদ্য বিদায়ী এ অর্থবছরে দেশটি থেকে রেমিটেন্স এসেছে ৩১ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই দেশ থেকে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ২২ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে রেমিটেন্স এসেছে ৯৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই দেশ থেকে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ২২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ডলার।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে দেশে। দেশটি থেকে আসার রেমিটেন্সের পরিমাণ ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দেশ থেকে এসেছে ২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ২ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়াও কাতার, ওমান, বাহরাইন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অষ্ট্রেলিয়াও রেমিটেন্স আসা দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশিরা কাজ করেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এখন সেসব দেশের তালিকায় রয়েছে। তাই এসব দেশ থেকে বৈধপথে প্রবাসী আয় দেশে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এসই/টিএ