শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে বৃত্তিপত্র দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এ পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজার ৭১০ জন শিক্ষার্থী ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে এখন বৃত্তি নিয়ে অধ্যয়নরত রয়েছেন ১৮ হাজার ৫৮০ জন শিক্ষার্থী।
বৃত্তিপ্রাপ্ত এইচএসসি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দু’বছরে প্রতি মাসে দুই হাজার করে টাকা পাবে। এছাড়া প্রতি বছর পাঠ্য উপকরণের জন্য আড়াই হাজার টাকা ও পোশাক-পরিচ্ছদের জন্য এক হাজার টাকা পাবে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, জন্মসূত্রে মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত হয় না। দীর্ঘ অধ্যয়ন ও অনুশীলনের মাধ্যমেই আশরাফুল মাখলুকাত হতে পারে। শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ রয়েছে। সবাই আশরাফুল মাখলুকাত হয়ে গেলে পৃথিবীতে কোনো অশান্তি থাকবে না।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা শিক্ষাক্ষেত্রে।
এসময় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তির উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আগামী ছয় বছর এই যোগ্যতা ধরে রাখতে হবে। এজন্য মানবসম্পদ উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মতো অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এজেড/এএ