তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অর্জন করায় মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তেমনি ট্যাক্স দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করায় শ্রেষ্ঠ করদাতারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
সোমবার (১২ নভেম্বর) সকালে সিলেটের মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদী করদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ট্যাক্স বিভাগও এগিয়ে যাচ্ছে। গত ৩৩ বছরে দেশে ট্যাক্স সংগ্রহ বেড়েছে ২৬ গুণ। দেশে ইটিআইএনধারী ২১ লাখ থেকে হয়েছেন ৩৭ লাখ। জাতির উন্নয়নের জন্য প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। প্রতিবছর ৩/৪ লাখ বেড়েছে। আর এভাবে করদাতা বাড়লে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে সময় লাগবে না। তাছাড়া আগের চেয়ে কর দেওয়ার প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে। যে কারণে করদাতা সংখ্যাও বাড়ছে। তাছাড়া করদাতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালু করলে ইটিআইএনধারী আরো বাড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের কর কমিশনার আবু হান্নান দেলওয়ার হোসেন বলেন, করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে করদাতাদের সর্বোচ্চ সেবাদান নিশ্চিতকরণ এবং জাতীয় রাজস্ব আহরণে কর অঞ্চল সিলেট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সেরা করদাতারা নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. সোহরাওয়ার্দী, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট গোলাম মো. মুনির, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি হাসিন আহমদ, সিলেট চেম্বার পরিচালক হিজকিল গুলজার, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট ডিস্ট্রিক্ট ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন সেলিম ও উইমেন্স চেম্বার সভাপতি স্বর্ণলতা রায়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা, আয়কর দেওয়া আরো সহজীকরণ, সিলেটে কর ভবন তৈরি, শ্রেষ্ঠ করদাতাদের সিআইপি মর্যাদা দেওয়া, করদানকারীদের বৃদ্ধ বয়সে রাষ্ট্র পাশে দাঁড়ায় এবং কর মেলার ব্যাপ্তি ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম কর কমিশনার সাহেদ আহমেদ চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন, উপ কর কমিশনার (প্রশাসন) কাজল সিংহ, আনোয়ার সাদাত, বাপন চন্দ্র দাস, সাদ উল্লাহ, আবু সাঈদ, অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার কামরুল হোসেন, আনিসুর রহমান, সহকারী কর কমিশনার আবু নাসের সিদ্দিকী, কর পরিদর্শক ফাতেমা বেগম, সামসুন্নাহার।
এবার সিলেট কর অঞ্চলে চার জেলায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় দীর্ঘ ধরে কর প্রদানকারী ১০ জন করদাতা, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ১৫ জন, সর্বোচ্চ নারী করদাতা ৫ জন এবং সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ৪০ বছরের নিচে ৫ জন তরুণ করদাতাকে সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
'আয়করের প্রবৃদ্ধি, দেশ ও দশের সমৃদ্ধি' এই স্লোগানে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) থেকে সারাদেশের মতো সিলেটেও শুরু হচ্ছে আয়কর মেলা। এদিন সকাল ১০টায় নগরের রিকাবিবাজার মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য কর মেলার উদ্বোধন হবে। এবার মেলা থেকে ৪৫ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মেলা শুরু করেছে সিলেট কর অঞ্চল। গতবছর মেলা থেকে দাখিলকৃত রিটার্নের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৯৯। আর আদায় ছিল ৪১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এনইউ/এএটি