সোমবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে মহানগরীর হোটেলে সিটি ইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
কর অঞ্চল-খুলনার আওতাধীন কেসিসি ও ১০টি জেলার সেরা করদাতাদের এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেয়র বলেন, এক সময় দেশের বাজেট ছিলো পরনির্ভরশীল বাজেট। কিন্তু বর্তমান বাজেটের ৯০ শতাংশ আসে নিজস্ব আয় থেকে। এ ক্ষেত্রে করদাতাদের অপরিসীম অবদান রয়েছে। এ সম্মাননা করদাতাদের আরও উৎসাহিত করবে।
দক্ষিণাঞ্চলসহ সমগ্র দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, উন্নয়নের অক্সিজেন হচ্ছে রাজস্ব, ২০৪১ সালের মধ্যে যদি আমরা দেশকে উন্নত দেশে হিসেবে চাই, তাহলে কর প্রদানকারীর সংখ্যা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে মাত্র ৩৭ লাখ টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) ধারী রয়েছে। কিন্তু এ সংখ্যা বাস্তবে অনেক বেশি হওয়ার কথা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- জাতীয় রাজম্ব বোর্ডের সদস্য কালিপদ হালদার, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, কর আপিল অঞ্চল খুলনার কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনা রেটের কমিশনার মো. মোস্তবা আলী এবং খুলনার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল হক।
কর অঞ্চল-খুলনার কর কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে স্বাগত রাখেন যুগ্ম কর কমিশনার মো. মঞ্জুর আলম। করদাতাদের পক্ষে মো. ওয়াহিদুজ্জামান এবং ওয়াসির ফরহাদ জামান তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ১০ জেলার সর্বোচ্চ, দীর্ঘ মেয়াদী, সর্বোচ্চ নারী ও তরুণ সম্মাননাপ্রাপ্ত ৭৭ জন সেরা করদাতা হচ্ছেন- খুলনা সিটি করপোরেশনের মিজ সফরুন্নেসা, এসএম আজিজুল আলম ও আব্দুল হামিদ সরদার, মিজ রেহানা বেগম ও প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, মিজ আলেয়া বেগম ও কাজী সানোয়ার হোসেন।
সিটি করপোরেশন ছাড়া ফুলতলার শেখ ইবাদত হোসেন, বটিয়াঘাটার মো. জিয়াউল আহসান, একই উপজেলার মো. শামীম আহসান, ফুলতলার গাজী হাফিজুর রহমান, বটিয়াঘাটার শেখ ইসলাম হোসেন, ফুলতলার মিজ রাবেয়া খাতুন ও পাইকগাছার মো. ইসতিয়ার রহমান (শুভ)।
খুলনার জেলার সম্মাননা প্রাপ্তরা হচ্ছেন-সাতক্ষীরার মো. আশিকুর রহমান (আশিক), খন্দকার আলী হায়দার, মো. আবু হাসান, মো. সামছুর রহমান, মো. আবুল কাশেম, মিজ সেলিনা সুলতানা শিউলী ও মো. সাজিদুল ইসলাম।
বাগেরহাটের মো. আনিসুর রহমান, মো. সোহেল কবীর, এখলাছুর রহমান, মো. নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, হাফিজুর রহমান শেখ, মিজ লিপিকা রানী দাস ও মীর রহমত আলী।
যশোরের আবু নাসের সরকার, দীপা রানী দত্ত, মো. আনছারী হোসেন সোহেল, মো. আব্দুল মান্নান, রহমান শামীম, মিজ জাহিদা আফরোজ লিন্ডা ও ওয়াসির ফরহাদ জামান।
কুষ্টিয়ার মো. মজিবুর রহমান, মো. পারভেজ রহমান, মিজ সেলিনা বেগম, আহমেদ আলী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম মহিউদ্দিন, মিজ তানিয়া আফরোজ ও ইশতিয়াক আজাদ।
মাগুরার মো. মকবুল হোসেন (মাকুল), মো. মেহেদী হাসান রাসেল, মো. শাহীনুর রহমান পিকুল, অভিজিত কুমার কুন্ডু, গোপাল চন্দ্র কর্মকার, মিজ সুপ্তি হক ও রবিউল।
নড়াইলের মো. ওয়াহিদুজ্জামান, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. গিয়াস উদ্দিন খাঁন, সুবোধ কুমার রায়, অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, মিজ মিনতী রানী বোস ও মো. জাহিদুল ইসলাম।
ঝিনাইদহের মো. মিজানুর রহামন লিটন, এম হারুন অর রশিদ, নিখিল কুমার পাল, মো. আব্দুর রহিম, মো. আমিনুল বাশার, মিজ জন্নাতুল ফেরদৌস ও মো. আতিকুল হাসান মাসুম।
চুয়াডাঙ্গার দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, মিজ সবিতা আগরওয়ালা, মো. শহিদুল হক মোল্লা, মো. হাফিজুর রহমান, মো. আব্দুল কাদের প্রধান, মিজ মারুফা হক ও সৈয়দ ফরিদ আহমেদ।
মেহেরপুর জেলার মো. অজয় সুরেকা, মো. আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, মো. আব্দুল হান্নান, মো. আব্দুল আউয়াল শ্যাম সুন্দর আগরওয়ালা, মিজ হামিদা খানম ও মো. শহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/