দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে, ঋণ খেলাপিরা জাতীয় সংসদে সদস্য হওয়ার যোগ্য নন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর বিকেল ৫টার পর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যাংক নিজ উদ্যোগে তথ্য সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে মনোনয়পত্র দাখিলকারীর নাম, পিতা-মাতা অথবা স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
‘এরপর প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই থেকে রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার আগেই রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ তথ্য জানাতে হবে। ’
এছাড়া প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকার কথাও বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এজন্য ওইদিনই ঋণ খেলাপি বিষয়ক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পুনঃতফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। আর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ডিসেম্বর।
ইসির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঋণ খেলাপি কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, সেজন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ আবশ্যক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন বিকেল থেকেই মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওইদিন থেকে মনোনয়ন বাছাইয়ের দিন পর্যন্ত বন্ধের দিনেও কাজ করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) কর্মকর্তাদের। এ উপলক্ষে সাধারণ ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।
সিআইবি’র বিশেষ সফটওয়্যারে প্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর (এনআইডি) ইনপুট দিলেই তার নামে কত ঋণ আছে, সেটির সর্বশেষ পরিস্থিতি কী, মোট ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ও সর্বশেষ পরিস্থিতি জানা যাবে।
এমনকি গ্যারান্টার হিসেবে তিনি কোনো ব্যাংকে ঋণ খেলাপি আছেন কি-না সেটাও জানা বের হয়ে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
এসই/এমএ