শনিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে আইপিডিসি’র সহযোগিতায় বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনার প্রতিকূলতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।
পেনালিস্টদের মধ্যে ছিলেন আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুমিনুল ইসলাম, ডিএমডি ও হেড অব বিজনেস ফাইন্যান্স রিজওয়ান ডি শামস, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) ড. মো. লিয়াকত হোসেইনসহ স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সাপ্লাই চেইন লিডাররা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের রাকীবুল আলম, মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের হাবীবুর রহমান, বিএসআরএম স্টিলসের ইমতিয়াজ উদ্দীন চৌধুরী, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের আসগর আলী, পারফেটি ভেন মেলের শাহেদ লতিফ, বিকাশ লিমিটেডের মো. রাশেদুল ইসলাম, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেডের মো. জিয়া উদ্দিন এবং নেসলে বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও বাংলাদেশ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির (বিএসসিএমএস) প্রেসিডেন্ট নকীব খান।
বৈঠকে বক্তারা বাংলাদেশের বর্তমান সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক অবস্থা, সাপ্লাই চেইনে সাপ্লায়ার এবং ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কর্মরত ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিবিধ প্রতিবন্ধকতা, সাপ্লাই চেইন ইকোসিস্টেমের প্রয়োজনীয়তার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
এসময় ড. মশিউর রহমান বলেন, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো এসএমই ঋণ। ক্ষুদ্র উৎপাদকরা শুরু থেকেই যদি প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা পান, তাহলে তারা একটি নিয়মিত সাপ্লাই চেইন বজায় রাখতে পারবেন; যা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে। একটি উন্নত সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থায়নের পাশাপাশি প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং দক্ষতা উন্নয়নও অত্যন্ত জরুরি।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, তরুণদের মাঝে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব তুলে ধরতে পারলে, তা পুরো জাতির উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
কাজী এম. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পণ্য পরিবহন ও লজিস্টিক সংক্রান্ত সমস্যাগুলোও চিহ্নিত করা জরুরি। আমরা আশা করছি এ ধরনের উদ্যোগ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের জন্য বড় সাফল্য বয়ে নিয়ে আসবে।
আলোচনায় আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা এসএমই ফাইন্যান্সকে উৎসাহিত করলেও এখনও সমান্তরাল অর্থের ওপরই নির্ভর করি। আমাদের একটি সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স ভিত্তিক শূন্য সমান্তরাল নগদ অর্থ প্রবাহ তৈরিতে সহযোগিতা করা উচিত। যা অবশ্যই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
ইমতিয়াজ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, সাপ্লাই চেইনের সুফল পেতে হলে আমাদের রুটগুলোতে একক লোড সিস্টেম করতে হবে। অন্যথায় দেখা যায় বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় লোডিং ক্যাপাসিটির কারণে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ভালো হয়।
রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো সাপ্লাই চেইনের বিষয়ে অবগত। কিন্তু সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ নেই। তাই সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া উচিত এবং জরুরি। এমনকি পাঠ্যসূচিতেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। এছাড়া ব্যাংকগুলো কীভাবে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে ভাবতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এসএম/টিএ