বর্তমান সরকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আয়কর সম্পর্কে ভীতি দূর করার পাশাপাশি কর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ২০১০ সালে প্রথম আয়কর মেলার বিশেষ উদ্যোগ নেয়।
এ মেলার ফলে একদিকে যেমন কর আদায় হয়েছে অপরদিকে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বেড়েছে কয়েকগুণ।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের মেলায় করদাতা, সাধারণ মানুষের সেবাগ্রহণ বেড়েছে। তাতে অতীতের সব রেকর্ডকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালের মেলায় ৩৯ হাজার ব্যক্তি ই-টিআইএন খুলে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছেন। সবমিলে ৯ বছরে মেলায় ই-টিআইএন খুলেছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৪জন।
এছাড়াও মানুষের মধ্যে অনলাইনে অর্থাৎ ঘরে বসে রিটার্ন দাখিল এবং ই-পেমেন্ট আয়কর প্রদান করতে শিখছেন করদাতারা। এনবিআরের সূত্র মতে, এ বছর প্রথমবারের মতই মেলায় ৩ হাজার ৭৭০ জন করদাতা কর জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬০ জন করদাতা ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৮৫ টাকা কর পরিশোধ করেছেন।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আয়কর বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভয়-ভীতি ছিলো যে, কর দিতে এলেই এনবিআর কর্মকর্তারা ধরবেন, টাকার জন্য হয়রানি করবেন। কিন্তু মেলার কারণে সেটা কমে আসছে। কর সম্পর্কে অস্পষ্টতা এবং ভয়-ভীতির বিষয়ও অনেকটা কেটে গেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভয়ভীতি আর থাকবে না।
তিনি বলেন, মেলায় সারাদেশের করদাতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ফলে এবারের মেলায় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
মেলার মাধ্যমে কর বিভাগ সম্পর্কে জনগণের ধারণা আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে অনেকেই এখন স্বেচ্ছায় আয়কর দিতে আসছেন। এখানে এসে আয়কর বিষয়ক আইন ও বিধি সম্পর্কে করদাতারা আরো ভালোভাবে জানার সুযোগ পাচ্ছেন বলে মনে করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ