সোমবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শ্রমিকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়ে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।
আমদানি পণ্য পরিবহনকারী ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক আব্দুস ছামাদ বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক গাড়ি মেশিনারি পণ্য জরুরী খালাস করা দরকার।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিস লজিস্টিক্যাল সিস্টেম লিমিটেডের প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত ৫ মাসে প্রায় দুই কোটি টাকা বন্দরের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে। এতোদিন নিজেদের পকেট থেকে শ্রমিকদের পাওনা টাকা মেটালেও, এখন পাওনা টাকা না পেলে আর তাদের পক্ষে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছে। বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস বাংলানিউজকে বলেন, আমি বন্দরে যোগদানের বেশ আগে থেকেই টেন্ডার সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। কাজ বন্ধ করে দিলে তো আর বিল আসবে না। বিষয়টি এখন আর আমাদের হাতে নেই। টেন্ডারে দর-দাম নিয়ে হাইকোর্টে যে মামলা রয়েছে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ধর্য্য ধরতে হবে।
জানা যায়, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে ছয় দিন ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ট্রাক পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়। আর বেনাপোল বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে খালাস হচ্ছে প্রায় ৭০০ ট্রাক পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে অর্ধেক রয়েছে ভারি যন্ত্রাংশ। যা লোড ও আনলোড করতে ইকুইপমেন্ট সেক্টরের শ্রমিকদের প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
এজেডএইচ/এনটি