জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়াউদ্দিন মাহমুদ জানান, এর আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিলো ১৯ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। সেই হিসেবে আগের বছরের তুলনায় এ বছর প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১২ দশমকি ৩৮ শতাংশ।
সোমবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এসময় এনবিআরের প্রথম সচিব খন্দকার খুরশীদ কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে ৩০ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিলো। কিন্তু এদিন শুক্রবার হওয়ায় ২ ডিসেম্বর (রোববার) পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এ সময়ে আয়কর মেলার যে রকম সাড়া পড়েছিলো, রিটার্ন দাখিলেও এনবিআরের অফিসগুলোতেও ব্যাপক সাড়া পড়ে।
এ সময়ে মোট ২০ লাখ ৬ হাজার ৭১৫ জন রিটার্ন দাখিল ও আদায় সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৬১০ জন রিটার্ন দাখিল করেছেন। আর বাকি ৩ লাখ ১৫ হাজার ১০৫ জন রিটার্ন দাখিল করার জন্য নতুন করে সময় চেয়েছেন। যা আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেড়েছে।
এনবিআরের সদস্য বলেন, এর আগের বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রিটার্ন দাখিল ও আদায় সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছিলো। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩৪ জন রিটার্ন দাখিল করেছিলো। আর সময় চেয়েছিলো ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে রিটার্ন দাখিল এবং আয়কর বাবদ আয় হয়েছে ২২ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। এর আগের বছর আয় হয়েছিলো ১৯ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। যা শতাংশের হিসেবে বেড়েছে ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
তার মধ্যে কেবল ১ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে রিটার্ন দাখিল ও আয়কর বাবদ এনবিআর’র আয় হয়েছে ৫ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে আয় হয়েছিলো ৪ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। যা শতাংশের হিসেবে বেড়েছে ২৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮/আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা
এমএফআই/জেডএস