তিনি বলেছেন, গত ৯ বছরে দেশের ব্যাংকখাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুটপাটের যে তথ্য সিপিডি প্রকাশ করেছে, সেটি তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য। এসব অর্থ থেকে বেশ কিছু টাকা ফেরত আসবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত বলেন, ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায়নি। কিছু টাকা উদ্ধার হতে পারে। আর এ টাকার বিপরীতে তো ব্যাংকগুলো প্রভিশন রেখেছে। তাই এর কিছু অংশ উদ্ধার হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সম্ভবত সিপিডির সভাপতি মিস্টার রেহমান সোবাহন দেশের ব্যাংক থেকে ২২ হাজার কোটি টাকা লোপাটের বিষয়টি বোঝেন নাই।
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কিছু করেনি- এ বিষয়ে তিনি বলেন, দুদুক বাচ্চুর ব্যাপারে কী করছে তা আমি জানি না। আমাদের চোখের সামনে থেকে এখন বাচ্চু চলে গেছেন সে জন্য আমি খুব খুশি। এখন সে কোথায় আছে তা আমি জানি না। বাচ্চু একজন প্রতারক ও চোর।
‘আওয়ামী লীগ ফের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে’ ইকোনমিক ইন্টিলিজেন্ট ইউনিটের এ রিপোর্ট প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, ভালো রিপোর্ট। তবে এরা অনেক সময় উল্টাপাল্টা রিপোর্টও করে। তারা আবার বলেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও অস্থিতিশীলতা থাকবেই। প্রত্যেকটা দেশেই এমন অস্থিরতা থাকে, এ নিয়ে ভাবার বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না।
ব্যাংকের এমডিদের অ্যাসোসিয়েশনের ঋণ খেলাপিদের দায়ী করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা সর্ম্পূণ ঠিক নয়। ব্যাংকের লোকেরা, যারা ঋণ দেয় তারাও দায়ী হতে পারে।
গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমাদের করণীয় কী’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। সেখানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গেল এক দশকে ব্যাংক থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে জানানো হয়।
২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ১৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব অর্থ খোয়া গেছে বলে উল্লেখ করা সিপিডির ওই সেমিনারে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
জিসিজি/এমএ