শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম বিষয়ক ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির জরুরি সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন মজুরি বোর্ডের ৩, ৪ ও ৫ গ্রেড নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, নতুন বেতন নিয়ে শ্রমিকদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তারা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের বেতনের সঙ্গে নতুন বধিত বেতন পাবেন ২০১৯ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এবারও ৭টি গ্রেডে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১৩ সালের কাঠামোকে অনুসরণ করা হয়। তাই এটা নিয়ে কোনো বিভ্রান্তির কিছু নেই। এজন্য শ্রমিকদের ১৭ ডিসেম্বর থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এ নির্বাচনকে বানচাল করতে একটি মহল চেষ্টা করে যাচ্ছে। নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে তারা শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে। সেখানে আপনাদের যাতে ব্যবহার করতে না পারে সে দিকে নজর রাখবেন। আর আপনাদের বেতন নিয়ে যদি কোনো সমস্যা বা অসামঞ্জস্য থাকে নির্বাচনের পর জানুয়ারিতে সবাই (শ্রমিক-মালিক) বসে সমাধান করা হবে। তাই শ্রমিকদের নিশ্চিন্তে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রি অল’র মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন, জাতীয় গামের্ন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম আমিন, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি, শ্রম সচিব আপরোজা খান, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহমেদ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানের অধিদফতরের মহাপরিচালক শামসুল জামান ভূঁইয়া, শিল্প পুলিশের মহা-পরিচালক আবদুস সালামসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরকার সর্বনিম্ন মজুরি ৮ হাজার টাকা ধরে নতুন বেতন কাঠামো করে দিয়েছে। সেটা করা হয়েছে ২০১৩ সালের বেতন কাঠামোনুসারে। তবে শ্রমিকদের মধ্যে এ নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে। এদের সংখ্যা এক শতাংশের কম। নতুন বেতন কাঠামোতে শ্রমিকদের বেতন কমানোর কোনো সুযোগ নেই। সামনে নির্বাচন তাই, এ বিষয় নিয়ে কোনো রকমের অসন্তোষের কারণ নেই। জানুয়ারিতে নতুন বেতন পাবার পর যদি কোনো অসামঞ্জস্য থাকে তাহলে শ্রমিক, সরকার ও মালিক পক্ষ বসে সমাধান করা হবে। তাই সেসব কারখানার শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের কাজে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ রইল।
ইন্ডাস্ট্রি অল’র মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন বলেন, বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নেমেছে। সামনে নির্বাচন এসময় কোনো ধরনের অসন্তোষ আমরা চাই না। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন বেতন পাবেন শ্রমিকরা। তাই নতুন বেতন না পাওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের কোনো ধরনের আন্দোলন না করার অনুরোধ করছি।
শ্রমিক নেতা আমিরুল ইসলাম আমিন বলেন, আমরা আশা করবো, সরকার যে বেতন নির্ধারণ করে দিয়েছে মালিকপক্ষ সেভাবে সঠিক সময়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করবেন। বেতন নেওয়ার পর যদি কোনো ফাঁকফোকর থাকে নির্বাচনের পর শ্রমিক মালিক সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
জিসিজি/ওএইচ/