সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল বশর বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছরে হয়ে যায়, ব্যাংকগুলো তাদের হিসাব বন্ধ করে দেয়।
জানা গেছে, স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সুবিধা ও তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ২ নভেম্বর ‘স্কুল ব্যাংকিং’ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। এরপর থেকেই স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আকর্ষণীয় মুনাফার নানা স্কিম চালু করে।
২০১০ সালে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সাল থেকে। প্রথম বছরে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ হিসাব খোলা হয় ২৯ হাজার ৮০টি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬১টি ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ে’র হিসাবের বিপরীতে জমাকৃত সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।
সাধারণত, ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বাবা-মা অথবা বৈধ অভিভাবকের সঙ্গে যৌথ নামে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। মাত্র ১০০ টাকা প্রাথমিকভাবে জমা দিয়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংক শাখায় এ হিসাব খোলা যায়। এ হিসাবে কোনো ফি বা চার্জ আরোপ করা হয় না। এমনকি ন্যূনতম স্থিতি রাখার বাধ্যবাধকতাও নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এসই/আরবি/