ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চালান বেড়েছে শীতের সবজির, কমছে না দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
চালান বেড়েছে শীতের সবজির, কমছে না দাম বাজারে শীতের সবজি-ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির আধিক্য থাকা সত্ত্বেও দাম কমার কোনো নাম গন্ধ নেই। দীর্ঘদিন ধরে একই দামে অবস্থান করছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজারদর। যদিও এর আগে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়ে আসছিলো বাজারে শীতকালীন সবজির চালান বাড়লে দাম কমবে।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১০, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও ও বউবাজার এলাকা ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

আগারগাঁও এলাকার সবজি বিক্রেতা সবুজ বলেন, বাজারে যেটার চালান বেশি, সেটার দাম কমার কথা স্বাভাবিকভাবে।

কিন্তু পাইকারি বিক্রেতারা দাম না কমালে আমরা কিভাবে কমাবো।  

পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে জানতে চাইলে আবারও আশার বাণী, আগামী সপ্তাহ থেকে দাম কমতে পারে।  

বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ও কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, কাকরোল ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাছাড়া বাজারে নতুন এসেছে পাতা পেঁয়াজ। যা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

এছাড়া বাজারে প্রতিপিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় এবং জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি কলমি শাক ও লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকায়, লাউ শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায়, পালং শাক ও পুঁই শাক ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

মিরপুর-১০ এলাকায় বাজার করতে আসা বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত জিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির চালান বেশি। তবুও দাম কমছে না। বিক্রেতাদের অনেক সবজি বিক্রি না হয়ে নষ্ট হচ্ছে। তবুও তারা দাম কমাচ্ছে না। এ অতিরিক্ত দাম যদি কৃষকরা পেতো তাহলে ভালোই হতো।  

এদিকে, সপ্তাহ খানেক আগে চালের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা করে বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি সিরাজ মিনিকেট ও মিনিকেট চাল ৫৭ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। স্বর্ণ চাল ৩৮, মোটা চাল ৩৫, সাকি-২৮ ৪৪ থেকে ৫০, আমিন-২৮ ৪০ থেকে ৪৮, প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকায়, মসুর ডাল মোটা ৭০ টাকায়, মুগ ডাল ১২০ টাকায়, ভোজ্যতেল প্রতিলিটার খোলা ৯০ টাকায় ও বোতলজাত ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

আবার দাম কমেছে বাজারে আসা মৌসুমের নতুন আলু। প্রতিকেজি ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫০ টাকা। এর আগে ছিলো ৬০ টাকা। তার আগের সপ্তাহে ৮০ থেকে ৯০ টাকা এবং শুরুতে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তাছাড়া প্রতিকেজি আদা ১৪০ টাকায়, রসুন ভারতীয় ৫০ টাকায় ও দেশি রসুন ৮০ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৪০ টাকা, ভারতীয় ৩০ টাকা এবং পুরানো আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে দামের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না মাছ-মাংসের বাজারে। তবে কৌশলে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া মাছের বাজারে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।  

আগারগাঁও এলাকার মাছ বিক্রেতা রবিন বলেন, বাজারে এখন মাছ-মাংসের চাহিদা কম। যদিও চালান ভালো। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম না বাড়ালে আমরা কখনো দাম বাড়াই না।  

বাজারে প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জোড়া ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিজোড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে মাছের আকারভেদে প্রতিকেজি টেংরা মাছ ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২৭০ থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা ও রুই ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

তবে মাংসের বাজারে নেই অতিরিক্ত দামের প্রয়াস। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
এমএএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।