ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এপিএসসিএল’র সঙ্গে ৭ প্রতিষ্ঠানের ৩৮৫ কোটি টাকার চুক্তি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
এপিএসসিএল’র সঙ্গে ৭ প্রতিষ্ঠানের ৩৮৫ কোটি টাকার চুক্তি 

ঢাকা: আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) সঙ্গে ৩৮৫ কোটি টাকার অর্থ ছাড়ের (সাবস্ক্রিপশন এগ্রিমেন্ট) বিষয়ে চুক্তি করেছে সাতটি প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠান সাতটি  হচ্ছে- বাংলাদেশ ইনফ্রাক্টচার ফাইন্যন্স ফান্ড, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, সাধারণ বীমা করপোরেশন, আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।  

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই করা হয়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রমুখ।

চুক্তি অনুযায়ী, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডকে বাংলাদেশ ইনফ্রাক্টচার ফাইন্যন্স ফান্ড ১০০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ১০০, রূপালী ব্যাংক ৭৫, সোনালী ব্যাংক ৫০, উত্তরা ব্যাংক ২০, সাধারণ বীমা ২০, আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ২০ কোটি টাকা দেবে। বাজার থেকে উত্তোলিত এ টাকায় কোম্পানিটির নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিদ্যুৎ হলো মানুষের কর্ম ক্ষমতা। এজন্য বিদ্যুতের প্রসার অনবরত করতে হবে। দেশে বিদ্যুতের প্রসার করতে হলে প্রাইভেট খাতের উদ্যোগক্তাদের উদ্যোগও অব্যাহত রাখতে হবে।  

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ খাতের জন্য তিন বছরের একটি প্লান করা হয়। সেটাই ছিলো শুভ সুচনা। এর ফলে আমাদের ১০ বছরের যে টার্গেট ছিলো আজ আমরা সেটার অনেক ঊর্ধ্বে আছি। বর্তমানে আমাদের ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে।  

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, রাজনীতির ভিশনের পরিবর্তন দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে বিদ্যুৎ বিভাগ তার প্রমাণ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন উন্নতির শিখরে উঠতে হলে বিদ্যুৎ হলো প্রথম সিঁড়ি। যারা এখানে বিনিয়োগ করেছে তারা সবাই আমাদের অংশীদার।  

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের যে ২০২১ ও ২০৪১ ভিশন তা সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এ ভিশন বাস্তবায়ন করতে বর্তমান সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। এ সরকার ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন চিন্তা করা যায় না। আজ ৩৮৫ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে এটা আমাদের দ্বিতীয় বন্ড ইস্যু। এর আগে টিএনটির সঙ্গে প্রথম বন্ড ইস্যু হয়। আরো এক বিলিয়ন ডলারের বন্ড পাইপলাইনে আছে।  

এসডিজি বিয়ষক মুখ্য সসন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুধু পিপিপি দিয়ে বিদ্যুৎখাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য জয়েন্ট ভেনচারের দিকে যেতে হবে। এদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করলে ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এপিএসসিএল এমডি এএমএম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎখাতের কোম্পানি সমূহকে সরকারের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে এ উদ্যোগ। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৮ হাজার ২৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৪৭ বিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন হবে।  

তিনি বলেন, এপিএসসিএল আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল, কলাপাড়া ১৩২০ মেগাওয়াটসহ পরিকল্পিত প্রকল্পে ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন পড়বে।

প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ পুঁজিবাজার থেকে এপিএসসিএল ৬০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ার ও ১০০ কোটি টাকা পাবলিক প্লেসমেন্ট শেয়ার। গত ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ সিকিউরিটি স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকার বন্ড উত্তোলনের জন্য আশুগঞ্জকে পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডকে অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ৩৮৫ কোটি টাকা ছাড়ের চুক্তি হয়েছে রোববার। বাকি ১১৫ কোটি টাকা আগামী মার্চ মাসের মধ্যে উত্তোলন করা হবে। এছড়া পাবিলক প্লেসমেন্টের ১০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর জন্য বিএসইসিতে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।