গত দু’দিন ধরে ব্যবসায়ীদের পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল আনলোড বন্ধ থাকায় পাথর, সিমেন্ট ও কয়লার অর্ধশতাধিক পণ্যবোঝাই কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, লরি বিলোনিয়া সড়কে সারি সারি আটকা পড়ে আছে। এতে প্রায় শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
বন্দর শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে গত দু’দিনে প্রায় ২০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় বঞ্ছিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বিলোনিয়া স্থল বন্দরের আইসি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজায়েত আলী মাহমুদ জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বিলোনিয়া স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তছলিশ আহমেদ চৌধুরী জানান, গত ১ জানুয়ারি থেকে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কারপাস সিস্টেম চালু করেছে। এতে বিলোনিয়া স্থলবন্দর এলাকা দিয়ে ভারতের সীমানায় মালামাল আনলোড করার সিস্টেম চালু করেছে। ফলে বাংলাদেশের বন্দর শ্রমিকদের ভারতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
বন্দর শ্রমিক নেতা ইব্রাহিম জানান, ২০০৯ সালে বন্দর চালু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অংশে মালামাল আনলোড করা হতো। এতে দু’দেশের শ্রমিকরা যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ পেতো। কিন্তু ১ জানুয়ারি থেকে ভারতের অংশে মালামাল আনলোড করার প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় ভারত বাংলাদেশের শ্রমিকদের কোনও সুযোগ দিচ্ছে না।
কাস্টমস একসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-কমিশনার উত্তম বিশ্বাস স্বাক্ষরিত গত ২৮ ডিসেম্বর এক পত্রে জানা গেছে, গত ৮ ও ৯ অক্টোবর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে জেজিওসি এর ১২তম সভায় দু’দেশের যৌথসভায় বিলোনিয়াসহ দেশের চারটি বন্দরে দিয়ে কারপাস সিস্টেম চালুর সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।
বিলোনিয়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দু’দেশের যৌথ সিদ্বান্ত অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে ভারতের অংশে পণ্য আনলোড করতে হবে।
বিলোনিয়া স্থলবন্দরের রফতানিকারক ইপ্তি টের্ডাসের মালিক নাছির উদ্দিন মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে গত দু’দিন ধরে বন্দর কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। এতে ব্যবসায়িকভাবে তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/