সোমবার (১৮ মার্চ) কারওয়ান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এবারের আয়োজনে পার্টনার হিসেবে থাকছে তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, সরকার ব্যবসা করবে না; ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে। প্রাইভেট খাত সেই ব্যবসা করবে। প্রাইভেট খাতের ব্যবসা করতে হলে যেসব সাহায্য করা দরকার সরকার তা করবে; আইসিটি ডিভিশন তা করবে। আইসিটি খাতে এখন প্রায় ১০ লাখ তরুণ-তরুণী কাজ করছে। আরও ১০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির জন্য কাজ করছি আমরা।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, এবারের আয়োজন নিয়ে আমাদের প্রধান তিনটি উদ্দেশ্য আছে। সেগুলো হলো-আমাদের দেশীয় আইটি পণ্য ও সেবার শো-কেসিং, নলেজ শেয়ারিং এবং নেটওয়ার্কিং। সরকার, শিল্প উদ্যোক্তা এবং সফটওয়্যারকে এক জায়গায় নিয়ে আসা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং এবারের এক্সপো আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান বলেন, এবারের এক্সপো বেসিসের সবথেকে বড় আয়োজন হতে যাচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশি-বিদেশি প্রায় ২৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ৩০টিরও বেশি সেমিনারে আইসিটি খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা অংশ নেবেন যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ভারতের মতো দেশ থেকে প্রায় ১০ জন বক্তা অংশ নেবেন। পুরো এক্সপোকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এবারই প্রথম নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি আলমাস কবির বলেন, হার্ডওয়্যার বাদ দিয়ে শুধু সফটওয়্যার চিন্তা করলে এটি শুধু বাংলাদেশ না বরং দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বড় আয়োজন হতে যাচ্ছে। জাপানকে ‘পটেনশিয়াল মার্কেট’ ধরে এক্সপোর দ্বিতীয় দিন ‘জাপান ডে’ হিসেবে নিয়ে বিশেষ কর্মসূচি রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। দরকার হবে না কোনো প্রবেশমূল্য। বেসিস এক্সপো ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেই প্রবেশ করা যাবে প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে। এছাড়া গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘বেসিস সফটএক্সপো’ অ্যাপস ডাউনলোড করে নিলে সেখানে এক্সপোর সব তথ্য এবং ইভেন্টের সময়সূচি জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এসএইচএস/আরআর