সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্তসচিব এস এম রেজওয়ান হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (এপটিএ) সফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে ব্যবসা সহজীকরণসহ মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ব্যবসা সহজ করতে দুই দেশ কাজ করছে। ব্যবসা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। বাণিজ্য সহজীকরণে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে যেসব বাধা রয়েছে তা পর্যায়ক্রমে দূর করা হবে বলে।
তিনি বলেন, বর্ডার হাট ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে ৪টি বর্ডার হাট আছে, আরো ৬টি বর্ডার হাট স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশে ভারতের অনেক বিনিয়োগ আছে। আগামীতে উভয় দেশের বাণিজ্য দৃশ্যমান অনেক পরিবর্তন আসবে।
হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি বলেন, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ভারত চায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। এজন্য ভারত বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
বাংলাদেশ ও ভারত ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্য ভারতে বিক্রি হচ্ছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা বা জটিলতা রয়েছে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা হবে। এছাড়া বর্ডার হাটের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে কাজ চলছে।
গত বছর বাংলাদেশ ভারতে ৮৭৩.২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৮৬১৯.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্যের অনেক কাঁচামাল ভারত থেকে আমদানি করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ