মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। বৈঠকে দেশের সমগ্র প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়।
চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রাক্কলন করে এই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ের সম্ভাব্য প্রাক্কলন করা হয়েছে। দেশের বর্তমান আর্থিক অবস্থার বিবেচনা করেই হাতে চার মাস বাকি রেখেই মাথাপিছু আয়ের তথ্য দেওয়া হয় সভায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সবখাতে আয় ভালো হয়েছে। শিল্প, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স- সব কিছুর প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ভালো হওয়ায় মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। গত বছর যেখানে মাথাপিছুআয় ছিল ১ হাজার ৭৫১ ডলার, তা এখন হয়েছে ১ হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৫৮ ডলার।
গত বছর কৃষিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, বর্তমানে তা হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ০২ শতাংশ, গত বছর একই সময়ে ছিল ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। সেবাখাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, গত বছর একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে প্রবৃদ্ধি কমলেও বেড়েছে সেবা ও শিল্প খাতে। ফলে মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। হাতে চার মাস বাকি থাকলেও সামগ্রিক আর্থিক চিত্র দেখা বলা হচ্ছে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়বে। আমরা যে ফিগার দিলাম বছর শেষে আরও বেশিও হতে পারে।
এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এমআইএস/এইচএ/