দু’দিনের সফরে শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও জিরো লাইনের রেলপথ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা রেলপথে পণ্য পরিবহন না করায় ওয়াগনগুলো (মালবাহি) ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের রেলপথ ব্রডগেজ। অপরদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের রেলপথ মিটারগেজ। আমাদের পথ ব্রডগেজ হলে ভারতের সঙ্গে কথা বলে কানেক্টিভিটি করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্থলবন্দরে কানেক্টিভিটি চালু করা হয়েছে। ভারত, নেপাল ও ভুটানের ব্যবসা বাণিজ্যে বুড়িমারী স্থলবন্দরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই
লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে যমুনা সেতুর সংযোগ পর্যন্ত ব্রডগেজ নির্মাণে কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই ভারতের সঙ্গে কথা বলেই বুড়িমারী চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে ভারত বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ চালু করা হবে।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- লালমনিরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী, রেলপথের মহাপরিচালক খন্দকার শহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।
রেলমন্ত্রী দু’দিনের সফরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে করে লালমনিরহাট রেল স্টেশনে পৌঁছান। এরপর লালমনিরহাট সার্কিট হাউজে বিশ্রাম শেষে একটি শাটল ট্রেনে করে বুড়িমারী স্থলবন্দর রেল স্টেশনে আসেন। এরপর বুড়িমারী জিরো লাইন পরিদর্শন করে পুনরায় শার্টল ট্রেনে করে লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
আরএ