ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভ্যাট হারের বিষয়ে ঐক্যমতে এনবিআর ও ব্যবসায়ীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
ভ্যাট হারের বিষয়ে ঐক্যমতে এনবিআর ও ব্যবসায়ীরা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সুবিধার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ঢাকা: নতুন ভ্যাট আইনে ভ্যাট হারের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীরা। ফলে আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ভ্যাটের কয়েকটি স্তর হবে। এ বিষয়ে ভ্যাটদাতাদের ভয়ের কিছু নেই।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট হার থাকলেও রেয়াত সুবিধার আওতায় অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

সোমবার (০১ এপ্রিল) রাজধানীর আইডিইবি ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সুবিধার উদ্বোধন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।  

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মুদ্রানীতি) রেজাউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাঈনুদ্দিন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেস্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, এনবিআর এর সদস্য সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।

মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সরকার ও দেশের জনগণের জন্য কাজ করে। এনবিআর যে রাজস্ব আহরণ করে তা সরকারকে দেওয়া হয়, সরকার তা দেশ ও জনগণের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করে। যারা নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স দেয় তারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। আর যারা দেয় না তারা সমাজে গ্রহণযোগ্য হয় না। তারা সবসময় ভয়ে থাকেন।

সঠিকভাবে সবাইকে ভ্যাট-ট্যাক্স দেওয়ার আহবান জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের নন ফরমাল অর্থনীতিকে ফরমাল করতে হলে  আমাদের অটোমেশনে আসতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশই  অনলাইনে সব কাজ করে। আমরা এ দিক থেকে পিছিয়ে আছি।

তিনি বলেন, সরকার যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা পূরণ করতে না পারলে জাতীয় বাজেটে তার প্রভাব পড়ে। এজন্য আপনারা ভ্যাট-ট্যাক্স দেবেন। যাতে দেশের উন্নয়নে আপনারা অংশীদার থাকতে পারেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান আছে নকল কাগজপত্র দিয়ে ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। এটা রোধ করতে হবে। আমরা চাই সবার জন্য এক নিয়ম চালু করতে। ইনফরমাল ব্যবসা আমরা চাই না। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষুদ্র থাক আমরা চাই না।

তিনি বলেন, ভ্যাট সংগ্রহে স্বচ্ছতা আনতে হবে। তাহলে রাজস্ব আয় বাড়বে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে অটোমেশনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের সবচেয়ে বেশি আয় হয় ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স থেকে। যারা বা যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়মিত রাজস্ব দেয় তাদের এখন থেকে নিয়মিত রিটার্নও সাবমিট করতে হবে।  
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম মাঈনুদ্দিন বলেন, ভ্যাট রাজস্ব আয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পৃথিবীব্যাপী অটোমেশন হয়। অটোমেশন গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত। তবে তা সহজ সরল পন্থায় হতে হবে।

এফবিসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে কবির ফাহিম বলেন, এফবিসিসিআই ও এনবিআর’র দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। বাংলাদেশকে ননফরমাল অর্থনীতি থেকে ফরমাল অর্থনীতিতে আনতে হবে। আমরা এনবিআরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চাই অটোমেশনের সুবিধা ভোগ করতে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৩০।  ১৪ আগস্ট থেকে অনলাইনে ভ্যাট দিতে পারবে সব প্রতিষ্ঠান। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সুবিধা চালুর ফলে ব্যবসায়ীরা নিজ প্রতিষ্ঠানে বসেই ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এছাড়া প্রতিদিনের লেনদেনের তথ্য প্রদান করতে পারবেন। এতে করে একদিকে রাজস্ব আহরণ বাড়বে অন্যদিকে রাজস্ব অফিসে আসার  ভোগান্তি পোহাতে হবে না ভ্যাটদাতাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।