ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ৫০ শতাংশ ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৯
সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ৫০ শতাংশ ব্যাংক ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের ৫০ শতাংশ ব্যাংক সাইবার নিরাপত্তায় নেক্সট জেনারেশন ফায়ারওয়্যাল (এনজিএফডব্লিউ) সফটওয়্যার স্থাপনে সক্ষম হয়েছে। ৩৫ শতাংশ ব্যাংকে আংশিক এবং ১৫ শতাংশ ব্যাংকে এটি স্থাপন অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে।

ফলে আংশিক এবং অনুমোদন পর্যায়ে থাকা এই ৫০ শতাংশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোনো সময় এসব ব্যাংক সাইবার হামলার সম্মুখীন হতে পারে।


 
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজম্যান্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
 
সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘আইটি অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রতিবেদনটি উপস্থাপিত হয়েছে।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান।
 
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রহিম।
 
প্রতিবেদনে ব্যাংকিং খাতের আইটি বিভাগে কর্মরত জনবলের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
 
এতে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে সার্বিক ব্যাংকিং খাতে আইটি বিভাগে কর্মরত জনবলের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ হাজার ২১৩ জন। অর্থাৎ গড়ে আইটি বিভাগে ৫৭ জন কর্মরত। এর মধ্যে সর্বনিন্ম জনবল ৬ জন ও সর্বোচ্চ ৩৭৪ জন।
 
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে সর্বোচ্চ ১১৬ এবং সর্বনিন্মু ৪১ জন নন-আইটি কর্মকর্তার জন্য মাত্র ১ জন বিশেষায়িত ব্যাংকে সর্বোচ্চ ২৬৯ সর্বনিন্ম ১৫১ জন কর্মকর্তার জন্য ১ জন, বেসরকারি ব্যাংকে সর্বোচ্চ ৯১ এবং সর্বনিম্ম ১৪ জনের জন্য ১ জন বিদেশী ব্যাংকে সর্বোচ্চ ৪৫ এবং সর্বনিন্ম ১৪ জনের জন্য ১ জন আইটি কর্মকর্তা রয়েছেন।
 
২০১৮ সালে রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে সর্বোচ্চ ৮টি শাখার জন্য ১ জন, বিশেষায়িত ব্যাংকে ২৯টি শাখার জন্য ১ জন, বেসরকারি ব্যাংকে ৪.৫ টি শাখার জন্য ১ জন এবং বিদেশী ব্যাংকে ২.২টি শাখার জন্য ১ জন আইটি কর্মকর্তাকে কাজ করতে হয়েছে।
প্রতিবেদনে আইটি খাতে ব্যংকের একটি ব্যয়ের চিত্র দেওয়া হয়েছে।
 
এতে দেখা যায়, ১৯৬৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত আইটি খাতের উন্নয়নে ব্যাংকগুলোর মোট খরচ হয়েছে ৩৮ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০১৮ সালে হয়েছে ২ হাজার ২১ কোটি টাকা। আইটি খাতে যে ব্যয় হয়, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ শতাংই আইটি হার্ডওয়্যারের পেছনে। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ আইটি নেটওয়ার্কে।  
 
গড়ে কতটি শাখায় ১ জন আইটি কর্মকর্তাকে সেবা দিতে হয় সেই চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের ব্যাংকে আইটি বিষয়ে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। তাই আমাদের এ বিষয়ে প্রস্তুতি রাখতে হবে, যেন বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা রোধ করতে পারি। এজন্য টেকনোলজি উন্নতি করতে হবে। শুধু ভালো সফটওয়্যার কিনলেই হবে না। এগুলো যথাযথ পরিচালনার জন্য দক্ষ কর্মীও তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে কর্মকর্তাদের আইটি প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে।
 
এছাড়াও বক্তব্য দেন, ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেন মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৯
এসই/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।