ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আরএমজি সেক্টরে ভাঙচুরকারীরা শিল্পের কেউ নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৯
আরএমজি সেক্টরে ভাঙচুরকারীরা শিল্পের কেউ নয় শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানসহ অন্যরা

ঢাকা: আরএমজি (রেডিমেইড গার্মেন্ট) সেক্টরে ভাঙচুরকারী, অগ্নিসংযোগকারীরা পোশাক খাতের কেউ নয়। তারা দেশের রফতানির সবচেয়ে বড় এ শিল্পখাতকে পেছনে ফেলতে চান।

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত অসুস্থ শ্রমিকের চিকিৎসা সহায়তা ও শ্রমিকের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী মালিক ও শ্রমিকবান্ধব।

প্রধানমন্ত্রী অনেক সময় নিজেই শ্রমিকদের পক্ষে বার্গেনিং করেছেন, আবার নানাভাবে মালিকপক্ষকেও সহায়তা করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের রফতানিতে যে খাত ৮০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে সে খাত নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। অনেক সময় নানা অজুহাতে এ সেক্টরের কারখানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়। তারা অনেক শ্রমিককে ভুল বুঝিয়ে আরও ষড়যন্ত্র করতে চায়। মনে রাখতে হবে, তাদের সঙ্গে এ খাতের মালিক ও শ্রমিকের কোনোপক্ষের যোগাযোগ নেই। এ শিল্পকে বাঁচাতে এ ষড়যন্ত্রকারী থেকে সাবধান থাকতে হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে গত ডিসেম্বর থেকে শ্রমিকদের বেতন ৮ হাজার টাকা কার্যকর হওয়ার পর অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের ২৮০টি কারখানা রুগ্ন হয়ে গেছে। অনেক খাতকে নগদ সহায়তা দেওয়া হলেও আমাদের দেওয়া হয় না। আমাদের শিল্প বাঁচাতে আমরা চাই আসন্ন বাজেটে ৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

এদিন চিকিৎসা বাবদ মোট ৯৭ জন শ্রমিকের মধ্যে ৩১ লাখ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শিক্ষাবৃত্তি বাবদ পোশাক শ্রমিকদের ৮২ জন মেধাবী সন্তানকে ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে চিকিৎসা বাবদ শ্রমিকের মধ্যে ২৬ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং শিক্ষাবৃত্তি বাবদ ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব উম্মুল হাছনা, বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির, বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মুনসুর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আউয়াল, শ্রমিক নেতা ফজলুল হক মন্টু, সিরাজুল রনি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯ 
ইএআর/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।