ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাক শ্রমিকদের বেতনে বিনামূল্যে সেবা দিচ্ছে বিকাশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
পোশাক শ্রমিকদের বেতনে বিনামূল্যে সেবা দিচ্ছে বিকাশ বিকাশ-আরমএজি পে-রোল অটোমেশন সল্যুশন্স নিয়ে মতবিনিময় সভা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নগদ টাকায় বেতন দেওয়ার পর অনেক শ্রমিক জানাতেন ‘আমি বেতন পাইনি; আমি... টাকা কম পেয়েছি।’ বিকাশের মাধ্যমে বেতন দেওয়ার পর থেকে শ্রমিকদের এমন অভিযোগ আমাদের কাছে আর আসছে না। এখন যদি কোনো শ্রমিক অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা বিকাশের কাছ থেকে স্টেটমেন্ট নিয়ে বলে দিতে পারি, কখন বেতন দেওয়া হয়েছে। টাকা কখন কোথা থেকে ক্যাশ-আউট বা সেন্ড-মানি করা হয়েছে। বিকাশের মাধ্যমে বেতন দেওয়ায় তৈরি হয়েছে স্বচ্ছতা। 

পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশের পে-রোল সেবা ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধার কথা এভাবেই জানালেন আজিম অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিএফও) জাকিউর রহমান।
 
তিনি বলেন, বিকাশের পে-রোল ব্যবহার করে দুই হাজার ৬শ’ শ্রমিককে বেতন দেওয়ার কারণে বছরে চার লাখ ডলার সাশ্রয় হচ্ছে আমাদের।

প্রথম দিকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও এখন সবাই বিকাশের মাধ্যমে বেতন নিয়ে সন্তুষ্ট।  
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে বিকাশ-আরমএজি পে-রোল অটোমেশন সল্যুশন্স নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
সভায় বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, বিকাশের পে-রোলের মাধ্যমে ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৭০টি পোশাক কারখানার দুই লাখের বেশি শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়েছে।  দেশের চার হাজার পোশাক কারখানায় এ সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সেবাটি চালুর পর থেকে ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের ঋণ ও সঞ্চয় প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বিকাশের।  
 
সভায় আজিম অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সালমান আজিম বলেন, বিকাশের মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাওয়ার পর থেকে খুশি শ্রমিকরা। যখন নগদ টাকায় বেতন দেওয়া হতো, তখন সারাদিন চলে যেত। ওইদিন আর কোনো শ্রমিক কাজ করতেন না। এভাবে বেতন দেওয়ার সময় মাসে দুইদিন উৎপাদন বন্ধ থাকতো। তবে বিকাশের মাধ্যমে বেতন দেওয়ার পর থেকে কাজে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায় আমরা সন্তুষ্ট।
 
সভায় বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ আরও বলেন, শ্রমিকদের বেতনের টাকা ক্যাশ-আউট করার জন্য কোনো চার্জ দিতে হয় না। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় (সিএসআর) ক্যাশ-আউট চার্জের পুরো অর্থ বহন করে থাকে বিকাশ ও পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ।  
 
মিজানুর রশীদ বলেন, সারাদেশে বিকাশের দুই লাখ এজেন্ট ছাড়াও ৭৮ হাজার মার্চেন্ট একাউন্ট রয়েছে। বর্তমানে ঋণের কিস্তি পরিশোধসহ বিভিন্ন সেবামূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে বিকাশের পেমেন্ট দিয়ে। । বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা থাকলে পাওয়া যায় চার শতাংশ মুনাফাও।
 
একটি সংস্থার জরিপের বরাত দিয়ে সভায় জানানো হয়, একটি কারখানায় একজন শ্রমিকের বেতন নেওয়ার সময় ব্যয় হয় ১৮ মিনিট। সে হিসাবে ২৫শ’ শ্রমিক কাজ করেন এমন কারখানায় বেতন বিতরণে ৭৫০ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এসব হিসাব থেকে দেখা যায়, বেতন পরিশোধ করতে গিয়ে একটি কারখানায় প্রতি মাসে একজন শ্রমিকের পেছনে ৩৮ টাকা করে ব্যয় হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এসই/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।