ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টসহ ৭ প্রকল্প অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টসহ ৭ প্রকল্প অনুমোদন একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সভা

ঢাকা: ৩ হাজার ৯৭১ কোটি টাকায় ‘সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ’ প্রকল্পসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ১০ হাজার ১১৬ কোটি টাকায় ব্যয়ে ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

এর মধ্যে জিওবি ৪ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪৯০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ৫ হাজার ২২০ কোটি টাকা প্রায়।  

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।

২ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি গ্যাস চট্টগ্রাম অঞ্চলের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত গ্যাসে দেশের সার্বিক চাহিদা মেটানো হবে। ফৌজদারহাট থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের প্রয়োজনীয় সঞ্চালন অবকাঠামো সৃষ্টি করা হবে। চট্টগ্রাম জেলার ফৌজদারহাট থেকে ফেনী হয়ে কুমিল্লা জেলার বাখরাবাদ পর্যন্ত ১০০০ পিএসআইজি চাপসম্পন্ন ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১৮১ কি. মি. গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করা হবে।

মহেশখালী এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস চট্টগ্রাম অঞ্চলের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত গ্যাস দেশের সার্বিক চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ফৌজদারহাট থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহে জন্য প্রয়োজনীয় সঞ্চালন অবকাঠামো সৃষ্টি করা এবং (খ) চট্টগ্রাম জেলার ফৌজদারহাট থেকে ফেনী হয়ে কুমিল্লা জেলার বাখরাবাদ পর্যন্ত ১০০০ পিএসআইজি চাপসম্পন্ন ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের ১৮১ কি. মি. গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করা।

‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্প ৮০ কোটি এবং ‘বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, মুন্সিগঞ্জ’ প্রকল্প ১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়। ‘প্রশিক্ষণ ও ক্ষমতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ১ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  ‘সমাজকল্যাণ ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প ৭৪ কোটি এবং ‘নীলফামারী জেলার চাড়ালকাটা নদী সোজাকরণ এবং বুড়িতিস্তা নদী তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের ব্যয় ১৪৭ কোটি টাকা।

সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।