ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ট্যাক্সে সমৃদ্ধ হবে দেশের কোষাগার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
‘স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ট্যাক্সে সমৃদ্ধ হবে দেশের কোষাগার’ দু’দিনব্যাপী আয়োজিত স্বর্ণমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

সিলেট: স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ট্যাক্সে দেশের কোষাগার সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মুসক নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।

তিনি বলেন, প্রত্যেক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে নিজেকে সরকারের অংশ মনে করে কর দিতে হবে। তারা আত্মমর্যাদার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।

মনে রাখতে হবে, কর জনগণের উন্নয়ন কাজে লাগে। দেশকে সুখী ও সমৃদ্ধি হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে কর দেওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে।

সোমবার (২৪ জুন) নগরীর উপশহরে একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে দু’দিনব্যাপী আয়োজিত স্বর্ণমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আরো বলেন, স্বর্ণ আমদানি পর্যায়ে ট্যাক্স ৩ হাজার টাকা। বাজারে যখন বিক্রি করবেন, তখন উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট আছে। এটা হচ্ছে পরোক্ষ ট্যাক্স। বছর শেষে যে ট্যাক্সটা দিতে হবে, সেটা হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর। আর আজকের মেলায় সরকার অপদর্শিত স্বর্ণ ট্যাক্সের মাধ্যমে বৈধ করার সুযোগ ‍দিয়েছে। এটা হচ্ছে প্রত্যক্ষ ট্যাক্স।

তিনি বলেন, আমরা দেশের কথা চিন্তা করি। দেশের অনেকগুলো বড় বড় প্রকল্পকে সচল রাখতে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় চলমান রাখতে হবে। সরকারের নীতি হচ্ছে, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় করা। তিনি স্বর্ণমেলা সফল হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের কর কমিশনার রনজীত কুমার সাহা বলেন, স্বর্ণ বা টাকা বিভিন্নভাবে অপ্রদর্শিত থেকে যায়। টাকার বেলায় এটাকে আমরা বলি ‘ব্লাক মানি’, আর স্বর্ণের বেলায় অপ্রদর্শিত স্বর্ণালঙ্কার। অপ্রদর্শিত স্বর্ণ কর দিয়ে পরিদর্শিত করার দাবি ছিল ব্যবসায়ীদের। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই স্বর্ণ মেলা। যদিও দু’দিনব্যাপী মেলা হবে, এরপরও ৩০ জুন পর্যন্ত সময় থাকছে গচ্ছিত স্বর্ণের উপর ট্যাক্স দিতে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার গোলাম মো. মনির, এফবিসিসিআই’র পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ, সিলেট জেলা আয়কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবুল ফজল, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, আয়কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায় ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য স্বপন কর্মকার।

উপ-কর কমিশনার স্বাদ উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর অঞ্চল সিলেটের যুগ্ম কর কমিশনার পংকজ লাল সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কর কমিশনার সাহেদ আহমদ চৌধুরী, উপ-কর কমিশনার কাজল সিংহ, শহীদুল্লাহ কায়সার। এছাড়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির শতাধিক ব্যবসায়ী মেলায় অংশ নেন।

আয়োজকরা জানান, স্বর্ণমেলায় ৬টি স্টলে আয়কর গ্রহণ করা হবে। তাতে নির্বিঘ্নে ব্যাংকের বুথে কর দিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, মেলা শুরুর প্রথম দিনেই অপ্রদর্শিত স্বর্ণের উপর ব্যবসায়ীদের কর দিতে ভিড় দেখা গেছে। সিলেট জুয়েলারি সমিতির অধীনে ২৪৭ জন স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।