ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল স্থলবন্দরে নেই পণ্য পরীক্ষণের ব্যবস্থা

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৯
বেনাপোল স্থলবন্দরে নেই পণ্য পরীক্ষণের ব্যবস্থা

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হওয়া সত্ত্বেও নেই কোনো পণ্য পরীক্ষণের ব্যবস্থা। ফলে পণ্যের মান পরীক্ষায় নষ্ট হচ্ছে সময়। যার কারণে যথাসময়ে পণ্য খালাস করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী ও বন্দর সূত্রে জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দেশের স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। এ বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হলেও আমদানি পণ্য খালাসের অন্যতম শর্ত ‘পণ্য পরীক্ষণ’।

কিন্তু পণ্য পরীক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই এ বন্দরে। ফলে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য, খাদ্যদ্রব্যের কাঁচামাল, কসমেটিকস ও শিল্প কারখানার কেমিক্যাল পরীক্ষণে মাসের অধিক সময় নষ্ট হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, পণ্য পরীক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক ব্যবসায়ীরা এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অবশ্য কাস্টমস বিভাগের দাবি, তারা চেষ্টা করছেন পরীক্ষাগার স্থাপনের। বছরে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয় প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এসব পণ্য ফেলে রাখায় অনেক সময় মানও নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি আমদানি পণ্য বন্দর শেডে বা ট্রাকে রেখে মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের। যার প্রভাব পড়ছে উৎপাদিত পণ্যের সাধারণ ক্রেতা পর্যায়েও।
বেনাপোল স্থলবন্দর
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কোনো পণ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকাতে পাঠালে সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লেগে যায়। এছাড়া প্রচুর টাকা খরচ হয়। তাই এখানেই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) একটি শাখা অফিস খোলা ছাড়াও টেস্টের জটিলতার সমাধান দরকার।

বেনাপোলের কাস্টমস কমিশনার মুহাম্মদ বেলাল হুসাইন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এখানে এরইমধ্যে সীমিত আকারে বিএসটিআই’র একটি শাখা চালু হয়েছে। আশা করছি বিসিএসআইআরসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শাখাও দ্রুত খোলা হবে।

বেনাপোল কাস্টমসের তথ্য মতে, এ বন্দর দিয়ে সাড়ে তিন শতাধিক আইটেমের পণ্য আমদানি হয়। যার মধ্যে খাদ্যদ্রব্য, খাদ্যদ্রব্যের কাঁচামাল, কসমেটিকস ও শিল্প কারখানার কেমিক্যাল জাতীয় ৫৫টি পণ্য পরীক্ষণ সার্টিফিকেট ছাড়া খালাস করা হয় না

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।