ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরবরাহ বাড়ায় নিত্যপণ্যে স্বস্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৯
সরবরাহ বাড়ায় নিত্যপণ্যে স্বস্তি

ঢাকা: গত ঈদের কেনাকাটার প্রভাব পড়ে মে মাসে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা নিত্যপণ্য কেনাকাটায় ভোগান্তিতে পড়েন। তবে সেই তুলনায় জুন মাসে স্বস্তি পেয়েছেন ক্রেতারা। জুনে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিলো ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এসব তথ্য জানিয়েছেন।  

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হারে স্বস্তি রয়েছে।

খাদ্যপণের মধ্যে গত জুনে মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ভোজ্য তেল, ফলমূল ও অন্য খাদ্য পণ্যের দাম কমেছে। ।  

অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মধ্যে পরিধেয় বস্ত্র, চিকিৎসাসেবা, পরিবহনসহ অন্যান্য পণ্য ও সেবার মূল্যও কমেছে। জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশে; যা তার আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।  

জুনে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশে; যা আগের মাসে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিলো। জুনে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশে, যা আগের ছিলো ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা তার আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।  

খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিলো ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
 
গ্রামীণ জীবনেও তিন খাতে স্বস্তির ছাপ পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে। জুনে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশে, যা এর আগের মাসে ছিলো ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।  

খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক শূন্য এক শতাংশে, যা তার আগের মাসে একই ছিল।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। চাহিদার তুলনায় সব পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। মূলত এসব কারণে মূল্যস্ফীতির হার কম। আমাদের যে পরিমাণে চাল দরকার বাজারে তার চেয়েও বেশি আছে, যে পরিমাণে ডাল দরকার তার থেকে বেশি আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৯
এমআইএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।