ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘পিপলস লিজিং নিয়ে আমানতকারীদের শঙ্কার কিছু নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
‘পিপলস লিজিং নিয়ে আমানতকারীদের শঙ্কার কিছু নেই’

ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল) অবসায়িত হলেও আমানতকারীদের শঙ্কার কিছু নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, আমানতকারীদের শঙ্কার কিছু নেই। কারণ এ কোম্পানির (পিএলএফএসএল) আমানতের চেয়ে সম্পদের পরিমাণ বেশি।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, আমানতকারীর অর্থ যত দ্রুত সম্ভব ফেরত দেওয়া হবে।  

বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত পিএলএফএসএল-এর অবসায়ন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।  এর মধ্য দিয়ে কোম্পানিটির অবসায়নের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।  

নানা অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় চরম সঙ্কটে পড়ে পিএলএফএসএল। এ অবস্থায় কোম্পানিটি অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে আমানত ফিরে না পাওয়া নিয়ে আমানতকারীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দেয়। তাদের শঙ্কা দূর করতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পিপলস লিজিংয়ে আমানতের তুলনায় সম্পদের পরিমাণ বেশি। কোম্পানিটির আমানতের পরিমাণ দুই হাজার ৩৬ কোটি টাকা। আর সম্পদ আছে তিন হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। এ কারণে আমানতকারীদের শঙ্কার কিছু নেই।  

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়। এতে নানা অনিয়ম বেরিয়ে আসে। নতুন বোর্ড গঠনের পরও কোনো উন্নতি হয়নি।  

‘তাই আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কোম্পানিটি অবসায়ন করার জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিই। গত ২৬ জুন এ বিষয়ে অনুমতি পাওয়া যায়। এরপর প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নের জন্য আদালতে যাওয়ার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম জানান, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। এ জন্য যা যা করণীয় আইন অনুযায়ী তাই করা হচ্ছে। আমরা আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডাদের আশ্বস্ত করতে চাই-তাদের আতঙ্কের কিছু নেই। তাদের কল্যাণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সজাগ রয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এসই/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।