ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পণ্যের গুণগত মান ও পরিবেশ সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
পণ্যের গুণগত মান ও পরিবেশ সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: হবিগঞ্জে কারখানা স্থাপনের পর থেকে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়কে প্রাণ-আরএফএল সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন গ্রুপটির পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কামরুজ্জামান বলেন, মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

এ  ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বর্তমানে ৪টি ইটিপি রয়েছে যার মাধ্যমে প্রায় দৈনিক ৬৬ লাখ লিটার তরল বর্জ্য পরিশোধন করা সম্ভব। যেখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৫ লাখ লিটার তরল বর্জ্য উৎপাদিত হয়। লিকুইড বর্জ্য ইটিপির মাধ্যমে পরিশোধন করা হয় আর সলিড বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সকল ধরনের ছাড়পত্র পেয়েছে পার্কটি। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তারা নিয়মিত কারখানা পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের তদারকি করে থাকেন।

পরিবেশ সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, খালের উজান থেকে নেমে আসা দূষিত পানির প্রবাহ বন্ধ করা গেলে এ অঞ্চলের ঐতিহ্য সুতাং নদী দূষণের হাত থেকে বাঁচবে।

হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জেনারেল ম্যানেজার এইচ এম মঞ্জুরুল হক বলেন, এখানকার উৎপাদিত পণ্য বর্তমানে বিশ্বের ১৪১টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। কারখানায় কর্মরত লোকবলের ৮০ ভাগই স্থানীয়।

তিনি জানান, কর্মসংস্থানের পাশাপাশি শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় উন্নত শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণে কাজ করছে গ্রুপটি। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ কারখানা সংলগ্নে একটি স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এই স্কুলে প্রায় ৬’শ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এছাড়া বেশ কিছু স্কুলে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, রাস্তাঘাট নির্মাণ, পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। মাত্র পাঁচ বছরে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এ অঞ্চলের মানুষের গর্বের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জেনারেল ম্যানেজার আরএফএল-অ্যাডমিন ফজলে রাব্বি, সিনিয়র ম্যানেজার প্রাণ-অ্যাডমিন এহসানুল হাবিব ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) জিয়াউল হকসহ কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকরা ইটিপিসহ হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ২০১৪ সালে হবিগঞ্জের ওলিপুরে ২১৭ একর এলাকা জুড়ে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলে। কারখানায় বর্তমানে ফ্রুট ড্রিংক, বেভারেজ, ক্যান্ডি, লিকুইড গ্লুকোজ, বিস্কুট, কনফেকশনারি, ইলেকট্রিক ক্যাবলস, ফ্যান, মেলামাইন, বাইসাইকেল, এমএস ও জিআই পাইপ, টয়লেট্রিজসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।