ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কামারশালায় চলছে ব্যস্ততা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
কামারশালায় চলছে ব্যস্ততা

ঠাকুরগাঁও: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন কামারশালায় লোহার টুং টাং টুং টাং শব্দ বেজে চলছে। ছেলে-মেয়েসহ পরিবাররের অন্যান্য সদস্যদের নিয়েও যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। দা-ছুরিসহ বিভিন্ন ধরনের মাংস কাটার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরিতে চলছে তাদের এ ব্যস্ততা।

জেলা শহরসহ সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।  

কামারশালায় কর্মরত রতন কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এসময় ছেলে-মেয়ে, বাবা-মা সবাই দা, চাপাতি ও বসিলা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকি।

বিক্রিও বেশ ভালো হয়। সারাবছরের বিক্রিই যেন এময় হয়ে যায়।  

বিভিন্ন কামারপট্টি ঘুরে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা। ভোরের আলো ফোটার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একাধারে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারাবছর কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদের এ সময়টা বরাবরই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের।

পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতে লোকজনও ভিড় করছেন তাদের দোকানে। কারিগররা জানান, সারা বছর যত পণ্য বিক্রি হয়, এই ঈদেই বিক্রি হয় তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি। কারণ পশু জবাই করার জন্য ধারালো অস্ত্রের প্রয়োজন। আর পুরাতন এসব অস্ত্র অনেকেই রাখেন না। সেই জন্য প্রতিবছর নতুন নতুন অস্ত্রের প্রয়োজন পড়ে। বিভিন্ন দামে এসব জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে। তবে এবার বেচাকেনা ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কামারেরা।

ক্রেতারা জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব জিনিসপত্র কেনা হচ্ছে। তারা জানান, কোরবানির ঈদকে মূল টার্গেট হিসেবে বিবেচনা করেই চলে তাদের কার্যক্রম। সারা বছর ব্যবসার বড় লভ্যাংশটা এ সময়ই ওঠে।

শিবগঞ্জের কারিগর লিখন কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, এখনও বিক্রির ধুম পড়েছে। বাজার পুরোপুরি জমে উঠেছে। কোরবানির পশু জবাই, মাংস  কাটার জন্য বিভিন্ন দামের ছুরি, দা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল বিক্রি হচ্ছে। এসব ইস্পাত ও লোহার তৈরি।

কারিগরেরা জানান, মাঝারি আকারের জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বড় ছুরি হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে মাংস কাটার কিংবা চামড়া ছাড়ানোর ছোট ছোট ছুরি। এসব ছুরি বিভিন্ন দামের।

দৈনিক স্কুলের পড়া শেষে চাচা হরেন কর্মকারের সঙ্গে লিখন কাজ করে। চাচা হরেন কর্মকার বলেন, ছেলেরা যখন সময় পায় তখন তাদের দিয়ে একটু হাপার টানাই। কারণ এখন মুজুরি দেওয়া অনেক টাকার ব্যাপার। বাড়ির ছোটরা হাটার টানলে, একটু কম খরচ হয় আর কি!

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের মোলানখুড়ি গ্রামের রশিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত বছর নতুন চাপাতি, বটি এবং দা কিনেছিলাম এবার সেগুলো আবারও শান দেওয়ানোর জন্য এনেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমএমইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।