ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০১৮-১৯ সালের বকেয়া শিগগিরই পাবেন চামড়া ব্যবসায়ীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
২০১৮-১৯ সালের বকেয়া শিগগিরই পাবেন চামড়া ব্যবসায়ীরা

ঢাকা: ট্যানারি শিল্প মালিকরা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের বকেয়া টাকা শিগগিরই দেওয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহ-সভাপতি রেজাউল করিম রেজনু।

তিনি বলেন, আমরা তৃণমূল সকল চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। আমরা তিনটি স্তরে ১৯৯০ থেকে ২০১০, ২০১১ থেকে ২০১৫ এবং ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত -এভাবে কাঁচা চামড়ার দাম পরিশোধ করবো।

 

একই সঙ্গে চামড়া ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে জানান তিনি।

শনিবার (৩১ আগস্ট) এফবিসিসিআই-এর বোর্ড রুমে বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশন ও কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি রেজাউল করিম রেজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, বিএফএলএলএফই-এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন প্রমুখ।  

রেজাউল করিম রেজনু বলেন, ‘চামড়া শিল্প একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প। আমরা এই শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে চাই। বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই। চামড়া নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে ১৮ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা করে আমাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এ সংকট সমাধানের জন্য। আজ আমরা একটি সুন্দর সমাধানে আসতে পেরেছি। তবে যারা এই খাত নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল তারা ইতোমধ্যে সরে গেছে।

বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা যদি চামড়া না দেয় তাহলে ব্যবসা করা মুশকিল। তাদের যে বকেয়া ছিল তা দেওয়া শুরু করেছি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোন সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। আমরা তিন ধাপে বকেয়া পরিষদ করবো।

তিনি বলেন, চামড়া নিয়ে একটি নীতিমালা হয়েছে। সেখানে আমাদের দাবিগুলো পূরণ হয়েছে। আশা করছি ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পারবো এ শিল্প খাত থেকে। তবে আমাদের কিছু সমস্যাও রয়েছে। আমাদের এ ব্যবসায় এখন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। কারণ আমরা হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরিত হতে হয়েছে। সেখানে অনেক খরচ হয়েছে। আমাদের ব্যাংক ঋণ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। পাশাপাশি রাজউক হাজারীবাগকে একটি জোন বানাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেটা বন্ধ করার জন্য এফবিসিসিআইকে অনুরোধ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিন ধাপে বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তে মোটামুটি সন্তুষ্ট। ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের এরমধ্যে ২০১৮-১৯ সালের বকেয়াটা আমরা আগে চেয়েছিলাম। সেটাও দেওয়া শুরু করেছে। এখন আমরা একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবো। যেখানে আমাদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে।

বকেয়া আদায় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। তবে তাদের সময় দেওয়া হবে। আমাদের কাজ ব্যবসা করা। আমরা সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪০০ কোটি টাকা পাবো ট্যানারি মালিকদের কাছে। আমরা এ টাকার কম নিবো না।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯।  
জিসিজি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।