ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত উত্তরাঞ্চলের চাষিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯
আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত উত্তরাঞ্চলের চাষিরা আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত চাষিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঠাকুরগাঁও: ধান ও পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এবার বেশি লাভের আশায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁওসহ বৃহত্তর দিনাজপুরের চাষিরা। তারা ক্ষেত পরিচর্যা, রোগ-বালাই দমন ও অধিক ফলনের আশায় নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছেন।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক মাসের মধ্যেই ক্ষেত থেকে উঠবে শীতকালীন শাকসবজি। বেশি লাভ ও বাম্পার ফলন হবে এমনটাই প্রত্যাশা চাষি ও কৃষি বিভাগের।

ঠাকুরগাঁও জেলার সবজিচাষি মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, জেলার বেকার যুবকরা চাকরির দিকে না ঝুঁকে নেমে পড়েছেন সবজি চাষে। এবারে আবহাওয়া ভালো থাকায় সবজির ভালো ফলন হবে। এখন সবজি কম পাওয়া গেলেও মাসখানেকের মধ্যে ভরপুর হবে ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারগুলোতে। দাম কিছুটা বেশি হলেও ভোক্তারা স্বাদ নেবে এসব সবজির।

সবজির ক্ষেত।  ছবি: বাংলানিউজ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলান খুড়ি গ্রামের তোফি রহমান বলেন, ধান ও পাটের ন্যায্যমূ্ল্য না পাওয়ায় এবার আগাম শীতকালীন সবজি চাষে নেমেছি। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত শ্রম দিচ্ছি সবজিক্ষেতে।

বেকার যুবক লুৎফর রহমান বলেন, চাকরি পেতে হলে একযোগে টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমার পক্ষে এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই বাপের যতটুক জমি আছে। সে জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছি। গত বছরে এক বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছিলাম। এবারে এক একর জমিতে সবজি লাগিয়েছি। আশা করছি, এবারও লাভের মুখ দেখবো।

কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন হবে ২ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন শাক-সবজি।

সবজি ক্ষেতের পাশে বসে খাবার খাচ্ছেন চাষিরা।  ছবি: বাংলানিউজ

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজির বাম্পার ফলন হবে। এই এলাকার মাটি অনেক উর্বর তাই ফলন বেশি। এ অঞ্চলের সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা কারিগরি সহায়তাসহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সবজি সংরক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করাসহ সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ অঞ্চলের কৃষকরা ভূমিকা রাখবে এমন প্রত্যাশা সবার।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।