ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘রাইনের মতো বাংলাদেশেও নদীর দুই পাশে বাস-ট্রেন চলবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
‘রাইনের মতো বাংলাদেশেও নদীর দুই পাশে বাস-ট্রেন চলবে’ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জার্মানির বন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অনন্য সুন্দর নদী রাইন। এই নদীর একপাশে ট্রেন অন্যপাশে অন্যান্য গাড়ি চলে। রাইন নদীর মতো বাংলাদেশের নদীগুলোর পাড় বেঁধে এক পাশে ট্রেন এবং অন্যপাশে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। 

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
 
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে জাপান আমাদের সঙ্গী হতে চায়।

তাদের সঙ্গে কাজ করলে দেশের নদীগুলোকে পদ্ধতিগতভাবে কাজে লাগানো যাবে। রাইন নদীর মতো পাড় বেঁধে দেওয়া হবে। নদীর এক পাড়ে ট্রেন অন্যপাড়ে বাসসহ গাড়ি চলবে। নদীর পলিগুলোকে কাজে লাগানো হবে। নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো উন্নত করা হবে।  

‘ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে জোর দিয়েছে জাপান। নদীর মধ্যে যেসব সম্পদ আছে তা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসতে চায় তারা। ’ 

অর্থমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ী প্রকল্প নিয়ে তাদের ব্যাপক আশা রয়েছে। মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরবর্তী ধাপে এটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অগ্রগতি হবে। নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করবে জাপান।  

পড়ুন: ‘চেকে প্রয়োজনীয় টাকা লিখে নিতে বলেছে বিশ্বব্যাংক’

‘আমাদের আর অনাবিষ্কৃত সম্ভাবনাময়ী খাতগুলোসহ, সমুদ্রের বিপুল সম্পদের সম্ভাবনা রয়েছে সে বিষয়েও তারা খুবই আগ্রহী। আমাদের যে ডেল্টা প্ল্যান করা হয়েছে, তা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে রক্ষা করবে, এই প্ল্যানের সঙ্গে জাপান-জাইকা সম্পৃক্ত হবে। ’
 
লবণের উন্নয়নে জাপান এগিয়ে আসবে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন,  মাতারবাড়ীতে অত্যাধুনিক লবণ উৎপাদন কারখানা স্থাপন করবে জাপান। ফল লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে রপ্তানিতেও অবদান রাখবে।
 
জাপানে বাংলাদেশি জনশক্তি রফতানি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি জাপান সফরে এ বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জাপানে জনবল পাঠানোর বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। জাপানিরা খুবই শান্তি প্রিয় জাতি। তারা খুব জোরে কথা বলা পছন্দ করে না সুতরাং এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে জাপানে লোক পাঠানো হবে। জাপানে লোক পাঠানোর জন্য ভাষা ও সংস্কৃতির বিষেয়ে বেশি বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।  
 
তিনি বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তত জাইকা। আমাদের অর্থনৈতিক খাতের অটোমেশন ও ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করবে জাপান। যার মাধ্যমে আমাদের এনবিআর সম্পূর্ণরূপে অটোমেটেড হবে, পাশাপাশি ব্যাংক খাত, ইন্সুরেন্স, পুঁজিবাজারও অটোমেশনে চলে আসবে। ’
  
এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।