ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোংলা ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
মোংলা ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ আহ্বান পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা ইকোনমিক জোন এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরের গুরুত্ব বাড়বে। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার কারণে মোংলা ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেড’ এর ‘বিনিয়োগ উন্নয়ন’ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়।

বাগেরহাট জেলায় মোংলা সমুদ্র বন্দরের কাছে ২০৫ একর জমিতে মোংলা ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তপক্ষের (বেজা) সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) সিকদার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেড এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটির উন্নয়ন করেছে। দেশে পিপিপি’তে এটিই প্রথম উদ্যোগ। ইতোমধ্যে সড়ক, সেতু, পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র, প্রশাসনিক ভবন ইত্যাদি নির্মিত হয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র ও বর্জ্য শোধনাগার, পার্শ্ববর্তী নদীতে ২টি জেটি, ট্যাঙ্ক টার্মিনাল, শিল্প স্থাপনের সব ধরনের ইউটিলিটি ও সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তাছাড়া এখানে ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেও জানানো হয়েছে অনুষ্ঠানটিতে।

‘বিনিয়োগ উন্নয়ন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্ৰধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, দেশে যখন অপরিকল্পিতভাবে শিল্প-কারখানাগুলো গড়ে উঠছিল তখন সেটা বন্ধের জন্য খুব চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সারাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেটাই এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলে অনেক বিদেশি বিয়োগকারী দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। পদ্মা সেতু চালুর পর দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যক্তা ও ব্যবসায়ীদের কাছে মোংলা ইকোনমিক জোন এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরের গুরুত্ব বাড়বে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পাওয়ারপ্যাকের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন, পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ও পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন এবং পরিচালক নাইমুজ্জামান মুক্তা প্রমুখ।

এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমম্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মোংলা ইকোনমিক জোন সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আগামী দিনে মোংলা বন্দর ও মোংলা ইকোনমিক জোন আমদানি-রপ্তানিকারকদের জন্যে অত্যন্ত লাভজনক ও আকর্ষণীয় হবে।

অনুষ্ঠানে রন হক সিকদার বলেন, ইতোমধ্যে পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন মোংলার ৪৪ শতাংশ প্লট বিভিন্ন প্ৰতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট প্লটগুলো আকর্ষণীয় সুবিধাসহ শিল্প স্থাপনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

অনুষ্ঠানে মোংলা ইকোনমিক জোনের বিস্তারিত নিয়ে একটি প্রসপেক্টাসের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এমএএম/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।