ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে কাঁচামাল উৎপাদনে ওষুধ সহজলভ্য হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
দেশে কাঁচামাল উৎপাদনে ওষুধ সহজলভ্য হবে

ঢাকা: দেশে ওষুধের বাজারের আকার বেড়েছে। মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ এখন দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো ভ্যাকসিন, ক্যান্সারের প্রতিষেধক, ইনসুলিনসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করছে। দেশে এসব ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হলে তা আরও সহজলভ্য।

শনিবার (০২ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই): প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।  

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসির।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম।  

তিনি বলেন, আমরা এখন ১৫০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছি। যার মোট গ্রোথ রেট ১০ শতাংশ। তবে আমরা কাঁচামাল আমদানি নির্ভর হয়ে গেছি। মোট ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। সেক্ষেত্রে দেশে কাঁচামাল উৎপাদিত হলে ওষুধ আরও সহজলভ্য হবে। পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতাও আরও সহজ হবে।

অধ্যাপক রবিউল বলেন, দেশে ওষুধের ৪১ প্রকার কাঁচামালের মধ্যে ৩ থেকে ৪ শতাংশ দেশের ৮ কোম্পানির উৎপাদিত। এক্ষেত্রে আমাদের প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে এবং আরও গবেষণার প্রয়োজন। দেখতে হবে কিভাবে আরও বিনিয়োগ ও গবেষণার মাধ্যমে কাঁচামাল উৎপাদন করা যায়। কারণ কাঁচামাল আমদানির কারণেই প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যয় হয়ে যায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের সঙ্গে আমাদর প্রতিযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। এপিআই ডেভেলপ করতে বাইরের দেশ থেকে প্রয়োজনে এক্সপার্ট আনতে হবে। এখনই সময় সরকারের কাছ থেকে সব ধরনের সুযোগ নেওয়ার। কারণ ওষুধ শিল্পের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) রুহুল আমিন বলেন, আমাদের সাধ্যের মধ্যেই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের জমি নেই, দক্ষ জনবলও নেই। তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকারও সময় নেই। আমাদের ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে হবে সহজভাবে।  

‘এজন্য কোম্পানিগুলোর যা যা সুযোগ-সুবিধা দরকার আমাদের জানালে ব্যবস্থা করবো। এখন অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) কারখানাগুলোকে সরকারি-বেসরকারি জয়েন্ট ভেঞ্চারে কাজ করার সময় এসেছে। তার এ সুবিধা নিতে পারেন। ’

তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তাদের সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বেছে নেয়। আমাদেরও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও সে দায়িত্ব নিতে হবে। তারা গবেষণা করে এসব সমস্যার সমাধান করতে পারে।  

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হাফিজুর রহমান, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের চেয়ারম্যান মো. জিয়া উদ্দিন, ডিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
ইএআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।