শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে খালাস হওয়া নয় ট্রাক পানপাতার একটি চালান যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক থেকে জব্দ করে।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী রহমত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানবিক কারণে দেখলেও রাস্তায় বিজিবি সদস্যরা তা আটকে মামলা দিয়ে হয়রানি ও লোকশানের মুখে ফেলছে। এতে আমদানিকারকরা খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামালের আমদানি আপাতত বন্ধ রেখেছেন। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন লোকশানের শিকার হচ্ছেন তেমনি সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আমদানিকারক উজ্বল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এ পথে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি কিছু কিছু পণ্য আমদানি হচ্ছে। এসব পচনশীল পণ্য গন্তব্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক নষ্ট হয়। তাই সামান্য কিছু বেশি থাকে। এতোটুকু সুবিধা না পেলে বৈধ পথে আমদানি করা সম্ভব না।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি শাখার ট্রাফিক পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, গত তিন দিন ধরে এ বন্দর কোনো খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্য আমদানি হচ্ছে না। বর্তমানে বন্দরে ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যদি পণ্য আমদানি করেন তবে তারা খালাসের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। এসব পণের মধ্যে প্রায় ৩৫-৪০ ট্রাক রয়েছে মাছ, পানপাতা, আপেল, লেবু ও টমেটোসহ বিভিন্ন পচনশীল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য। প্রতিদিন এসব আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এনটি