ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রথমবারের মত মুনাফায় মধ্যপাড়া পাথর খনি

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
প্রথমবারের মত মুনাফায় মধ্যপাড়া পাথর খনি

পার্বতীপুর (দিনাজপুর): প্রায় একযুগ পর প্রথম বারের মত লাভের মুখ দেখেছে দেশের একমাত্র ভুগর্ভস্থ পাথর খনি দিনাজপুরের পার্বতীপুর মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল)। 

পেট্রোবাংলার এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তালেব মো. ফারাজী শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



তিনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে খনি থেকে ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৯৪ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। এসময়ে বিক্রি হয়েছে ৭ লাখ ৩১ হাজার ১৯৪ টন পাথর। এ থেকে মুনাফা হয়েছে ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। বিষয়টি ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এমজিএমসিএল’র বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উপস্থাপন করা হয় বলে তিনি জানান।

এদিকে, খনিটি প্রথমবারের মত লাভের মুখ দেখায় শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জিটিসি এক আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। খনি কম্পাউন্ডে জিটিসি ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহনাজ মিথুন মুন্নী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান, ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন, জিটিসি’র নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিটিসি’র চেয়ারম্যান ড. সিরাজুল ইসলাম কাজী।

অনুষ্ঠান শেষে প্রায় ১০ হাজার জনকে প্রীতিভোজ করানো হয়। খনি কম্পাউন্ডে জিটিসি ক্যাম্পাস ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গুড়গুড়ি মাদরাসা মাঠ, মৌলভীডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, পাকুড়িয়া মাজার শরীফ ও এতিমখানা মাঠে প্যান্ডেল তৈরি করে লোকজনকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে জিটিসি।
 
খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দিকী জানান, খনির দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে জিটিসি খনিটিকে লাভজন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খনির নতুন স্টোপ নির্মাণ করে বিদেশি মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ স্থাপন করে খনির পাথর উত্তোলন বৃদ্ধিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অর্ধশতাধিক বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞ, দেশি প্রকৌশলী এবং ৭ শতাধিক খনি শ্রমিক তিন শিফটে পাথর উত্তোলন কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে সব সমস্যা কাটিয়ে খনির উৎপাদন পুরোদমে চলছে। এখন প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই উৎপাদন আরও বাড়বে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।