রোববার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বাংলাদেশি ট্রাক চালকরা হয়রানি বন্ধের দাবিতে এ পথে ভারতে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পরে দু’দেশের কাস্টমস, বিজিবি, বিএসএফ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর দুপুরে রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় চালু হয়।
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা জানান, কাগজপত্র সবঠিক থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত বিএসএফ সদস্যরা হয়রানি করে। প্রতিদিন কোনো না কোনো সমস্যা তারা তৈরি করে। তারা বাংলা ভাষা বোঝে না। তাদের কথাও ট্রাক চালকেরা ঠিকমত বুঝতে পারে না। তখন কোনো কারণে প্রতিবাদ করলে বিএসএফ সদস্যরা চালকদের গালাগালি ও মারধর করে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ভুয়া বলে ভেঙে দেয়। দিনদিন হয়রানির মাত্রা বাড়ছে। এর প্রতিবাদে রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, বিএসএফের বাধার কারণে পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশি ট্রাক চালকরা ধর্মঘট ডাকে। এতে রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি সমাধানের জন্য দু’দেশের বিজিবি, বিএসএফসহ বাণিজ্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে রপ্তানি বাণিজ্য সচল করা হয়।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রায় ১৫০-২০০ ট্রাক বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি করা হয়। এসব পণ্যের মধ্যে- পাট ও পাটজাত দ্রব্য, তৈরি পোশাক, মাছ উল্লেখ্যযোগ্য। আমদানি বাণিজ্যে ভারতীয়দের আগ্রহ থাকলেও বাংলাদেশি পণ্য গ্রহণে তাদের আগ্রহ কম। এতে প্রায় সময় নানা হয়রানির অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এনটি